পুলিশ জনগণের বন্ধু—এই কথাটি আবার প্রমাণ করে দিলেন লক্ষ্মীপুরের কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলেমান। একটি থানার এলাকার জনগণের নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকে ওই থানার পুলিশ সদস্যদের ওপর। আর থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্যদের পরিচালনা করেন ওসি।
দেশের অনেক থানায় প্রবেশ করে সেবা প্রার্থীরা ওসিদের ‘স্যার’ বলে সম্বোধন করতে হয়। কিন্তু কমলনগর থানার ওসি মো. সোলেমানকে স্যার বলে সম্বোধন করতে হয় না। এমনকি তার কক্ষে প্রবেশে আলাদা অনুমতি নিতে হয় না সেবাপ্রার্থীদের।
ওসি সোলেমান বলেন, “আমার রুমে প্রবেশ করতে কোনো অনুমতি বা আমাকে স্যার বলে সম্বোধন করার প্রয়োজন নেই। পুলিশ জনগণের বন্ধু। আমরা সেবা প্রার্থীদের সঙ্গে বন্ধুর মত করে ব্যবহার করি। সুন্দরভাবে সেবা দেওয়ার কাজ করে যাচ্ছি।”
প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মচারী হয়েই সাধারণ মানুষের সেবায় নিজেকে উপস্থাপন করেছেন কমলনগর থানার ও সোলাইমান। তিনি নাগরিকদের সেবায় সরাসরি শুনছেন অভিযোগ। ঘটনার সত্যতা যাচাই করে দিচ্ছেন আইনি সহায়তাও। তার কাছে তাৎক্ষণিক সেবা পেয়ে মুগ্ধ সর্বশ্রেণির মানুষ। ওসির বিরামহীন সেবায় ইতোমধ্যেই ব্যাপক সারা পড়েছে কমলনগর জুড়ে।
জানা যায়, পুলিশ পরিদর্শক মো. সোলাইমান চলতি বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি যোগদান করেন কমলনগর থানায়। যোগদান করেই নিতে থাকেন ভিন্নধর্মী সেবামূলক উদ্যোগ। জনগণ আর নিজের মধ্যে দূরত্ব না রেখে নিজেকে উপস্থাপন করেছেন অতি সাধারণ একজন পুলিশ সদস্য হিসেবে। সব সেবা প্রার্থী তার কাছে সমান।
এক সেবা প্রার্থী বলেন, “একসময় থানায় দালালদের দৌরাত্ম ছিল চোখে পড়ার মতো। নতুন ওসি যোগদানের পর থানা রয়েছে দালালমুক্ত।”
এমন উদ্যোগের কারণে ইতোমধ্যেই তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছেন। এছাড়া অসহায় নারীদের নানাবিধ অভিযোগ ও আইনি সহায়তা প্রদানে ওসির কর্মকাণ্ডে অনেক খুশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
ওসি মো. সোলাইমান বলেন, “পুলিশ হবে জনবান্ধব। সাধারণ মানুষের সাথে পুলিশের দূরত্ব ভয়ভীতি দূর করে প্রকৃতপক্ষে পুলিশিং সেবা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে চেষ্টা করছি।”