• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে ইউনুছের পদত্যাগ


টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ১১, ২০২৩, ০৭:১০ পিএম
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে ইউনুছের পদত্যাগ
ছবি : সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন ইউনুছ ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন পেতে তিনি চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।

বুধবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে তথ্যটি তিনি নিজেই নিশ্চিত করেছেন।

ইউনুছ ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু স্বাক্ষরিত কাগজে বলা আছে, “আমি গোপালপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। আমার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণে চেয়ারম্যানের পদের দায়িত্ব পালন করতে পারছি না বিধায় আমি উক্ত পদ হতে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে ইচ্ছুক। আমাকে গোপালপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ হতে পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করছি।”

জানা যায়, ইউনুছ ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও উপজেলা পরিষদের তিন বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি টাঙ্গাইল-২ (ভুঞাপুর-গোপালপুর) আসন থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। তিনি গত ১৭ সেপ্টেম্বর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের বরাবর আবেদন করেন। পরে ৩ অক্টোবর স্থানীয় সরকার বিভাগ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ শূন্য ঘোষণা করেন।

ইউনুছ ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু বলেন, “আমি গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলাম। কিন্তু চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ না করায় দল আমাকে মনোনয়ন দেয়নি। আমি তিন বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। ভূঞাপুর-গোপালপুরের জনগণ আমাকে এমপি হিসেবে দেখতে চান। জনগণের চাপের কারণে তফসিল ঘোষণার আগেই চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করলাম।”

ইউনুছ ইসলাম আরও বলেন, “আমার দীর্ঘ বিশ্বাস জননেত্রী শেখ হাসিনা এবার আমাকে মনোনয়ন দেবেন। গোপালপুর-ভূঞাপুর আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নৌকা উপহার দেবো। এই দুই উপজেলাকে স্মার্ট, মডেল ও সন্ত্রাসমুক্ত উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলব।”

স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক শামীম আরা রিনি জানান, গোপালপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদত্যাগের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের বরাবর আবেদন করেন। পরে মন্ত্রণালয় পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে। উপজেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-১ মীর রেজাউল হক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।

ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মীর রেজাউল হক বলেন, “আমাকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করব।”

Link copied!