পিরোজপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হাত-পা কেটে বিচ্ছিন্ন করে সোহাগ শেখ নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করছে প্রতিপক্ষরা।
সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের ভৈরমপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন স্থানীয় ইউপি সদস্য মিজান হাওলাদার।
মিজান হাওলাদার জানান, নিহত সোহাগ শেখ (৩৩) পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের ভৈরমপুর গ্রামের সিদ্দিক শেখের ছেলে। তিনি শহিদুল নামে একজনকে হত্যা মামলার প্রধান আসামি ছিলেন।
সোহাগের ভাই সিপন শেখ জানান, সোমবার রাতে ফোন করে তার ভাই সোহাগ শেখকে বাড়ির সামনে বের করা হয়। পরে মাতুব্বর বাড়ির মসজিদের পাশে স্থানীয় শামসু ও এমামসহ কয়েকজন সোহাগকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এ সময় সোহাগের শরীর থেকে হাত ও পা বিচ্ছিন্ন করে ফেলে তারা। শুরু এর আগেও তার ভাইকে কয়েকবার মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিল প্রতিপক্ষের লোকজন।
তিনি আরও জানান, এলাকায় আধিপত্য নিয়ে একটি পক্ষের সঙ্গে সোহাগ ও তার পরিবারের বিরোধ ছিল। গত ইউপি নির্বাচনের পর শহিদুল নামে একজন খুন হন। সে মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছিল তার ভাইকে। কিছুদিন আগে সোহাগ সেই মামলায় কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মিজান হাওলাদার বলেন, “কুপিয়ে ফেলে রাখার পরে সোহাগকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ঘটনার সময় সোহাগের ভাগিনা সামসুর রহমান কাছাকাছি ছিল। কারা কুপিয়েছে তা সে দেখেছে। এলাকায় আধিপত্য নিয়ে সোহাগদের সাথে কিছু লোকজনের শত্রুতা ছিল। গত ইউপি নির্বাচনের পরে শহিদুল নামে একজন খুনও হয়েছে। সে মামলায় সোহাগ এক নাম্বার আসামি ছিলেন।”
হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসিকুজ্জামান জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে প্রাথমিকভাবে এমনটা জানা গেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে। এছাড়া মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এ নিয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার) শেখ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “নিহত সোহাগ শেখের পরিবারের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।”