চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে জামায়াতে ইসলামীর পূর্বনির্ধারিত সাধারণ সভায় যুবদল নেতার নেতৃত্বে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় সাংবাদিকসহ ৯ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মিরসরাই পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের এস রহমান স্কুলের মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন দৈনিক ভোরের দর্পণ পত্রিকার মিরসরাই উপজেলা প্রতিনিধি আশরাফ উদ্দিন, মিরসরাই উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আনোয়ার উল্লাহ, মিরসরাই পৌরসভা জামায়াতের সভাপতি শিহাব উদ্দিন, শ্রমিক নেতা মো. নুরুদ্দিন, জামায়াত কর্মী নুরুল আলম, শিবিরের সাথি কফিল উদ্দিন, শ্রমিক নেতা শহিদুল্লাহ মোহাম্মদ ফারুক ও শফিকুল আলম সিকদার। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় জামায়াতের কর্মী নুরুল আলমকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জামায়াতে ইসলামীর মিরসরাই উপজেলা শাখার আমির নুরুল কবির বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় মিরসরাই পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের এস রহমান স্কুলের মাঠে তাদের একটি সাধারণ সভা ছিল। সন্ধ্যায় মিরসরাই পৌরসভা যুবদলের আহ্বায়ক কামরুল হাসান এসে সভার বিষয় তাকে কেন জানানো হয়নি, এমন অভিযোগ এনে দলবল নিয়ে নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালান। এতে দেশি অস্ত্রের আঘাতে তাদের বেশ কিছু নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে জামায়াত কর্মী নুর আলমের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে চট্টগ্রামে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।
অভিযোগের বিষয়ে মিরসরাই পৌরসভা যুবদলের আহ্বায়ক কামরুল হাসান বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় মিরসরাই পৌরসভার এস রহমান স্কুলে জামায়াত আওয়ামী লীগের চিহ্নিত নেতাকর্মীদের পুনর্বাসন করে সভা করছিল। এ বিষয়ে নেতাদের কাছে জানতে চাইলে উত্তেজিত হয়ে জামায়াতের লোকজন প্রথমে হামলা করেন। এরপর সমাবেশস্থলের আশপাশে থাকা তার পরিচিতজনেরা এগিয়ে এলে তাদের ওপরও হামলা হয়। হামলার ঘটনায় তিনিসহ তাদের অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দিতেও বাধা দেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেবেন তারা।
মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের বলেন, “জামায়াত ও বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে হামলার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এনেছি আমরা। হামলায় কয়েকজন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে শুনেছি। সেখানে এখন পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনো কোনো পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি।”