রাজবাড়ীর পাংশায় হামলার প্রতিবাদে সমাবেশ থেকে ফেরার পথে যুবদলের কর্মী মনিরুল বিশ্বাস গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। মনিরুল পাংশা উপজেলার পাট্রা গ্রামের আব্বাস বিশ্বাসের ছেলে। তাকে পাংশা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার ( ১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা যুবদল নেতা ও জিয়া সাইবার ফোর্স কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা ফরহাদ হোসেন সোহাগ মোটর সাইকেল যোগে গত বৃহস্পতিবার বিকালে পাংশা যাবার পথে পাট্টার গোলাবাড়ীতে তার গতি রোধ করে কিল, ঘুষি, বাঁশের লাঠি, লোহার রড দিয়ে এলোপাতারি মারধের শুরু করে। পরে তার পায়ের রগ কাটতে যায় হামলাকারীরা এবং পকেটে থাকা ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল কেড়ে নিয়ে মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। সে সময় তার শ্যালক কাউসার হোসেন এগিয়ে গেলে তাকেও মারধর করে তার গলায় থাকা একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে খুন জখমের হুমকি দিয়ে চলে যায়।
আহত ফরহাদ হোসেন সোহাগ জানান, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার ওপর হামলা করা হয়েছে। হামলাকারীরা মুলত অতীতে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করলেও এখন বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে চলছে। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, চাঁদাবাজি, দখল, লুটপাঠ, জোর জুলমে বাধা দেওয়ায় গত বৃহস্পতিবার তার ওপর হামলা হয়েছে।
এ হামলার প্রতিবাদে শুক্রবার বিকালে পাংশা পাট্টার জাগির নতুন বাজার প্রাঙ্গনে ইউনিয়ন যু্বদলের আয়োজনে একটি বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এতে পাট্টা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি জহুরুল ইসলাম মুরাদের সভাপতিত্বে পাংশা উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আরিফ, কালুখালী উপজেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক আনিছ মোল্লা, জেলা ছাত্রদল নেতা মো. সজিব রাজা প্রমূখ বক্তৃতা করেন।
সমাবেশ শেষে যুবদল নেতা ফরহাদের উপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করে ইউনিয়ন যুবদলসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এদিকে যুবদল নেতা ফরহাদের ওপর হামলার ঘটনায় পাংশা মডেল থানা ও সেনা ক্যাম্পে পৃথক দুইটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে ফেরার পথে সন্ত্রাসীরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে ইউনিয়ন যুবদলের কর্মী মনিরুল বিশ্বাস গুলিবিদ্ধ হন। তাকে পাংশা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পাংশা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়েছে। খোঁজ নিয়ে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।