গাজীপুরে পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রী মীমকে (১৮) শ্বাসরোধে হত্যার পর ঘরে তালা দিয়ে পালানোর অভিযোগ উঠেছে আল-আমিন নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে।
বুধবার (২৬ জুন) বিকেলে শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের মাওনা উত্তরপাড়া গ্রামের বড়বাড়ির একটি বহুতল ভবনের তৃতীয় তলার কক্ষ ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় মরদেহের পাশে পড়ে থাকা ছামাদের একটি চিরকুটও উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশের ধারণা, চিরকুটটি ঘাতক স্বামী আল-আমীন নিহত মীমকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর লিখে পালিয়ে গেছে।
নিহত মীম সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি থানার মূলকান্দী ছোটবেড়া খারুয়া গ্রামের ইউসুফ খানের মেয়ে। তিনি স্বামীর সঙ্গে তিন মাস ধরে শ্রীপুরের ওই বাসায় ভাড়া থাকতেন।
অভিযুক্ত স্বামী আল-আমিন টাংগাইল জেলার কালিহাতী থানার সরাতৈল গ্রামের আমিনুলের ছেলে। তিনি স্ত্রীকে নিয়ে ওই বাসায় ভাড়া থেকে মাওনা এলাকায় সাদ গ্রুপের একটি কারখানায় চাকরি করতেন।
নিহতের বড় ভাই নাঈম বলেন, “৯ মাস আগে আল আমিনের সঙ্গে আমার বোনের বিয়ে হয়। তিন মাস আগে আল আমিন আমার বোনকে নিয়ে ওই বাসায় ভাড়া থেকে একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। দুপুরে আমরা শুনতে পারি, আমার বোনকে হত্যা করে আল আমিন পালিয়েছে।”
আল আমিনের সহকর্মী আরিফ বলেন, “আমি আল আমিনের সঙ্গে একই কোম্পানিতে চাকরি করি। দুপুর দেড়টার দিকে আল আমিন আমাকে ফোন করে জানায়, তার স্ত্রীকে সে হত্যা করে ঘরে তালা দিয়ে পালিয়েছে। পরে বিষয়টি আমি ওই বাসার দারোয়ানকে জানিয়েছি।”
মরদেহর পাশে পাওয়া চিরকুটে লেখা রয়েছে— মা আমারে মাফ কইরা দিয়ো। অনেক স্বপ্ন ছিল তোমারে কোনোদিন কষ্ট দিবো না। কিন্তু এমন একজন মানুষ তুমি আমারে আইনা দিছো, যার অত্যাচার থেকে বাঁচতে এই সিদ্ধান্ত নিলাম। তিলে তিলে মরার চাইতে একবারে মরে গেলাম। সবাই আমারে মাফ কইরা দিয়ো। সে আমারে কয়েক মাসের মধ্যে মানসিক রোগী বানাইয়া ফেলছে। পরিশেষে সবার জন্য দোয়া করে গেলাম। এমন বউ জানি কারো কপালে না জোটে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে ঘটনাটি ঘটতে পারে। নিহতের পাশেই একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটকের চেষ্টা চলছে।