চট্টগ্রামের আনোয়ারা থানার বৈরাগ এলাকার চায়না ইকোনমিক জোন কার্যালয়ের পাশে পরিত্যক্ত একটি ইটভাটা থেকে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে অজ্ঞাতনামা এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সহায়তায় পুলিশ আঙুলের ছাপ নিয়ে তার পরিচয় শনাক্ত করে।
পুলিশ বলছে, নিহত ওই নারীর নাম আমেনা বেগম (২৩)। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ওই নারী খুন হয়েছেন। স্বামী এ ঘটনায় জড়িত। ঘটনার দুই দিন পর বিদেশে চলে যান নিহত নারীর স্বামী ইয়াসিন আরাফাত। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
নিহত আমেনার বাবা কামাল উদ্দিন বলেন, “আমার মেয়েকে বেড়ানোর কথা বলে আনোয়ারায় নিয়ে যায় তার স্বামী। সেখানে খুন করে মরদেহ ফেলে রেখে বিদেশে চলে যায় সে। স্বামীই আমার মেয়েকে খুন করেছে।”
পুলিশ জানায়, ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আমেনার এটি দ্বিতীয় বিয়ে। তার আগের সংসারে দুই সন্তান ছিল। প্রবাসী ইয়াসিন আরাফাতের সঙ্গে তার দ্বিতীয় বিয়ে হয়। সেই সংসারে একটি সন্তান রয়েছে। কিন্তু ইয়াসিনের পরিবার আমেনাকে মেনে নেয়নি। এ কারণে আমেনাকে নগরের বাকলিয়া তক্তারপুল এলাকায় একটি বাসায় রাখতেন।
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন বলেন, “ইয়াসিন আমিরাতের দুবাইপ্রবাসী। কিছুদিন আগে তিনি দেশে আসেন। স্ত্রী আমেনাকে না জানিয়ে আরেকটি বিয়ে করেন তিনি। পরে সেটি আমেনা জানতে পারেন। বিষয়টি নিয়ে স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য ছিল।”
ওসি আরও বলেন, “প্রাথমিকভাবে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে, গত মঙ্গলবার আমেনাকে দাওয়াতের কথা বলে আনোয়ারায় নিয়ে যান স্বামী ইয়াসিন। পরে সেখানে তাকে হত্যা করেন। দুই দিন পর বৃহস্পতিবার তিনি আবার দুবাই চলে যান। ঘটনায় জড়িত অন্যদেরও শনাক্ত করে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।”