• ঢাকা
  • রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

যমুনায় বাড়ছে পানি, দেখা দিয়েছে ভাঙন


সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ৫, ২০২৪, ০৪:৪৯ পিএম
যমুনায় বাড়ছে পানি, দেখা দিয়েছে ভাঙন

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে সিরাজগঞ্জ ও কাজিপুর পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। একই হারে বাড়ছে অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানিও। এ কারণে চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের রাস্তা-ঘাট ও ফসলি জমি তলিয়ে যাচ্ছে। দেখা দিয়েছে নদীভাঙন। পানি আরও চার-পাঁচ দিন বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে পাউবো। এ কারণে বন্যা আতঙ্কে রয়েছেন নদী পাড়ের মানুষ।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুক্রবার (৫ জুলাই) দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১৮ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ২৪ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার এবং কাজিপুর পয়েন্টে ৩২ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৪৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

মাহবুবুর রহমান বলেন, পানি আরেও চার-পাঁচ দিন বাড়তে পারে। পানি বাড়লেও বড় ধরনের বন্যা হওয়ার আশঙ্কা নেই। তবে স্বল্পমেয়াদি মাঝারি ধরনের বন্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ভাঙনকবলিত এলাকাগুলোতে বালিভর্তি জিওব্যাগ ফেলা হচ্ছে।

এদিকে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে অভ্যন্তরীণ নদ-নদী করতোয়া, ফুলজোড়, হুড়াসাগর ও চলনবিলেও সমানতালে পানি বাড়ছে।

এ পরিস্থিতিতে জেলার সিরাজগঞ্জ সদর, কাজিপুর, বেলকুচি, শাহজাদপুর ও চৌহালী উপজেলার নদীতীর, চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের রাস্তাঘাট, আবাদি জমি পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। অনেকের বাড়িতে পানি ওঠায় তারা নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন। এসব এলাকায় বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি ওঠায় সেগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে।

কৃষি অফিস জানিয়েছে, এ পর্যন্ত জেলায় ৪০৮ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে।

চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার কয়েকটি স্থানে নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনের কবলে পড়ে এসব এলাকার বেশ কিছু বসতবাড়ি ও আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান জানান, যমুনাসহ নদ-নদীর পানি বাড়লেও বন্যা পরিস্থিতির এখনো অবনতি হয়নি। এতে আঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। প্রতিটি উপজেলায় পরিস্থিতি মোকাবেলায় যথেষ্ট প্রস্তুতি রয়েছে।

Link copied!