নীলফামারীর ডোমার জেনারেল ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ১৩ বছরের কিশোরীকে অন্তঃসত্ত্বা বলে ভুল রিপোর্ট দেওয়ার ঘটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালত ক্লিনিকটি সাময়িক বন্ধ করে দিয়েছেন। একইসঙ্গে ২২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) উপজেলা মাঠ সংলগ্ন ডিবি রোডের ওই ক্লিনিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত এ অভিযান পরিচালনা করেন।
এ সময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) জান্নাতুল ফেরদৌস হ্যাপি বলেন, “অভিযোগ ও নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার অংশ হিসেবে ক্লিনিকটি সাময়িক বন্ধ ও ২২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। তবে বেশ কিছু শর্ত ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয়েছে। সেই শর্তগুলো পূরণের পর অনুমতি সাপেক্ষে পুনরায় তারা ক্লিনিকটি চালু করতে পারবেন।”
এদিকে এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তারা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবেন। এই কমিটির প্রধান করা হয়েছে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. নাহিদা তাসনিম হিমিকে।
এ বিষয়ে নাহিদা তাসনিম হিমি বলেন, “আমরা তদন্ত করেছি। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।”
প্রসঙ্গত, গত ১১ জুন বিকেলে পেটে ব্যথা নিয়ে ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যান ১৩ বছরের এক কিশোরী। পেট ব্যথার ফলে ক্লিনিকে আল্ট্রাসনোগ্রাফি ও ইউরিন পরীক্ষা করতে বলে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। আল্ট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্টে কিশোরীকে অন্তঃসত্ত্বা দেখানো হয়। তবে পরিবারের লোকজনের সন্দেহ হলে তারা আরও দুটি ক্লিনিকে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করেন। সেখানে রিপোর্ট স্বাভাবিক আসে। এতে করে সোমবার ওই ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার অবরোধ করে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধের দাবি জানান কিশোরীর স্বজন ও স্থানীয়রা।