• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভুল কীটনাশক ব্যবহারে আলুগাছে পচন, বিপাকে চাষিরা


ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৩, ২০২৪, ০৩:৪৯ পিএম
ভুল কীটনাশক ব্যবহারে আলুগাছে পচন, বিপাকে চাষিরা
আলুগাছে পচন ধরায় বিপাকে চাষিরা। ছবি : প্রতিনিধি

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের মালিগাঁও গ্রামের বাসিন্দা নজমুল ইসলাম। পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে তিনি আলুর আবাদ শুরু করেছিলেন। স্বপ্ন ছিল লাভের টাকায় ঋণ পরিশোধ করে সংসারে স্বচ্ছলতা আনবেন। শুরুর দিকে আলু গাছের উর্বরতা দেখে খুশি ছিলেন তিনি ৷ চলতি মাসের আট তারিখ ক্ষেতের পুষ্টি বাড়াতে ‘পিক’ নামে একটি মাইক্রো পুষ্টি কীটনাশক ব্যবহার করেন নাজমুল। পরদিন থেকে আলু গাছে পচন ও নষ্ট হওয়া শুরু করে।

শুধু নাজমুল নন তার মতো এই গ্রামের আরও ১০ জন কৃষক এস এ এম (SAM) এগ্রো কেমিক্যালের মাইক্রো ভিটামিন ‘পিক’ কীটনাশক ব্যবহার করে বিপাকে পড়েছেন। তাদের ৭ একর জমির আলুতে এখন পচন ধরেছে।

মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, আলুর গাছগুলো পচে মরে যেতে শুরু করেছে। গাছের শিকড়ে পচন ধরে সেগুলো নষ্ট হয়েছে। ক্ষেতের এমন অবস্থা দেখে দুশ্চিন্তায় আছেন আলু চাষিরা।

নজমুল ইসলাম বলেন, “শুরুতে আমার আলুগাছগুলো বেশ ভালো ছিল। ‘পিক’ ব্যবহার করার পর থেকে গাছগুলো মরে যেতে শুরু করে। নিচের শিকড়ে পচন ধরে সব শেষ হয়ে গেছে। আমরা এর ক্ষতিপূরণ চাই। সেটা না হলে কীভাবে ঋণ পরিশোধ করব।”

আরেক চাষি বাচ্চু বলেন, “আমাদের প্রতি বিঘা জমিতে যা খরচ হয়েছে, সেটি আমাদের দেওয়া হোক। তাদের কীটনাশক ব্যবহার করে আমাদের সব শেষ হয়ে গেল।”

কীটনাশক বিক্রেতা আলম হোসেন বলেন, “এই কোম্পানির কীটনাশক অনেক দিন ধরে বিক্রি করে আসছি। এর কাজও অনেক ভালো। এবার যারা পিক কীটনাশক দিয়েছেন সবার আলু নষ্ট হয়ে গেছে। আমি কোম্পানির লোককে অবগত করেছি, তারা দেখবে বলে আশ্বস্ত করেছেন৷”

এস এ এম এগ্রো ক্যামিকেলের এরিয়া ম্যানেজার নুরুজ্জামান বলেন, “পিক ব্যবহার করার কারণে এমন হয়েছে। সরেজমিনে দেখে আমারও এটিই মনে হয়েছে। সবাই পিক ব্যবহার করার কারণে আলু নষ্ট হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, তারা ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন।”

এ ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, “বিষয়টি জানতে পেরে আমরা ক্ষেতগুলো দেখতে গিয়েছিলাম। সেখানে আর আলু হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ইতোমধ্যে আমরা কীটনাশকটি পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছি। এটি যাতে আর বিক্রি না হয় এবং কৃষকদের ক্ষতিপূরণে আমরা সমন্বয় করছি।”

Link copied!