• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ব্রিজ নির্মাণের ১ বছর পর শুরু হলো সংযোগ সড়কের কাজ


লালমনিরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশিত: নভেম্বর ১, ২০২৩, ০৬:৩০ পিএম
ব্রিজ নির্মাণের ১ বছর পর শুরু হলো সংযোগ সড়কের কাজ

লালমনিরহাট সদর উপজেলায় ব্রিজ নির্মাণের ১ বছর পর সংযোগ সড়কের কাজ শুরু হয়েছে। এতে খুশি উপজেলার হারাটি ও খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কেশরঘাট এলাকার সতী নদীর ওপর দীর্ঘদিন ধরে বাঁশের সাঁকো ছিল। যুগের পর যুগ মানুষ ঝুঁকি নিয়ে সাাঁকোর ওপর দিয়ে চলাচল করত। পরে স্থানীয়দের দাবির প্রেক্ষিতে সেখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। তবে ভূমি জটিলতার কারণে প্রায় এক বছর বন্ধ থাকে সংযোগ সড়কের কাজ। সম্প্রতি ব্রিজের দুপাশের সংযোগ সড়কের কাজ শুরু হয়েছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৫ মার্চ ৬ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয়ে কেশরঘাটে ব্রিজ নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। সময় অনুযায়ী ৮১ মিটার দৈর্ঘ্যের ব্রিজের কাজ শেষ হলেও ভূমি জটিলতায় আটকে যায় সংযোগ সড়কের কাজ।

স্থানীয়রা জানান, কেশরঘাটে দীর্ঘদিনের দাবির পেক্ষিতে একটি ব্রিজ নির্মাণ হলেও সংযোগ সড়ক না থাকায় তারা সেটি ব্যবহার করতে পারছিলেন না। সম্প্রতি সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ায় খুশি তারা।

খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের বাসিন্দা আব্দুস সালাম বলেন, “কেশরঘাট হয়ে জেলা শহরে যেতে যুগের পর যুগ বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করে পারাপার হতে হতো। বর্ষাকালে এই ভোগান্তি চরম আকার ধারন করত। জনগণের ভোগান্তি নিরসনে সরকার একটি ব্রিজ নির্মাণ করে দিলেও যাতায়াতের উপযোগী না হওয়ায় ভোগান্তি শেষ হয়নি।”

জেলা শহর থেকে কেশরঘাট হয়ে বাড়ি ফেরা মোটরসাইকেল আরোহী মাসুক ইসলাম বলেন, “ব্রিজ হলেও শেষ হয়নি সংযোগ সড়কের কাজ। এতে আগের মতোই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। কেশরঘাট ছাড়া জেলা শহরে যেতে প্রায় ৫ কিলোমিটার ঘুরতে হয়।”

ভ্যানচালক আলতাফ হোসেন বলেন, “বাঁশের সাঁকো থাকাকালীন ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হতো। বর্তমানে ব্রিজ আছে কিন্তু রাস্তা নেই। তাই ঝুঁকিও কমেনি। তবে সংযোগ সড়ক নির্মাণ শেষ হলে ঝুঁকি থাকবে না।”

হারাটি ইউনিয়নের বাসিন্দা কৃষক খয়বর আলী বলেন, “জনগণের সুবিধার জন্য ব্রিজ নির্মাণ হয়েছে। দীর্ঘদিন পর ব্রিজের দু’পাশে সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। কাজ শেষ হলে ব্রিজের অপর পাশে থাকা জমির ফসল বাজারজাতকরণে সুবিধা হবে।”

ব্রিজ নির্মাণকারী ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি শাহাজামাল বলেন, “নির্ধারিত সময়ে ব্রিজ নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। তবে ভূমি জটিলতার কারণে সংযোগ সড়কের কাজ হয়নি। সম্প্রতি এলজিইডি প্রকৌশলীর হস্তক্ষেপে সমস্যার সমাধান হওয়ায় সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।”

এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর লালমনিরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী আখতারুজ্জামান হাসান বলেন, “সম্প্রতি ভূমি জটিলতা কাটিয়ে ব্রিজের সংযোগ সড়কের কাজ শুরু হয়েছে। দ্রুতই যোগাযোগের জন্য উপযোগী হবে ব্রিজটি।”

Link copied!