• ঢাকা
  • বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩০, ১৫ রজব ১৪৪৬

চেয়ারম্যানকে বাড়ি থেকে তুলে আনলেন নারীরা, অতঃপর পরিষদে নিয়ে…


কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৪, ২০২৫, ০৩:০১ পিএম
চেয়ারম্যানকে বাড়ি থেকে তুলে আনলেন নারীরা, অতঃপর পরিষদে নিয়ে…

টানা ৯ দিন ধরে বন্ধ ইউনিয়ন পরিষদ। প্রতিদিন ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে জন্ম নিবন্ধন, নাগরিক প্রত্যয়নপত্র, মৃত্যু সনদসহ নানা প্রয়োজনে সেবা নিতে এসে ফিরে যাচ্ছেন স্থানীয়রা। অবশেষে সমস্যা সমাধানের জন্য সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে স্থানীয় শত শত নারী হাতুড়ি দিয়ে কার্যালয়ের তালা ভাঙেন। পরে মিছিল নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের বাড়ি গিয়ে তাকে তুলে আনেন পরিষদে। এরপর চেয়ারে বসান।

ঘটনাটি ঘটেছে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর যদুবয়রা ইউনিয়ন পরিষদে।

জানা গেছে, গত ৪ জানুয়ারি রাত ৮টার দিকে যদুবয়রা ইউপি চত্বরে ছাত্রলীগের ৭৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কেটে স্লোগান দেয়। ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি সোহেল রানার নেতৃত্বে এ কেক কাটা হয়। পরে এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। ইউনিয়ন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ মিছিল নিয়ে রাত ৯টার দিকে চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে তালা দেন।

পরদিন ইউপি কার্যালয় থেকে পরিষদের সচিব, গ্রাম পুলিশের সদস্য ও সেবাপ্রত্যাশীদের বের করে প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। এতে ভোগান্তিতে পড়েন মানুষ। সোমবার পরিষদে শত শত নারী এসে হাতুড়ি দিয়ে কার্যালয়ের তালা ভেঙে চেয়ারম্যানকে বাড়ি থেকে পরিষদে ডেকে আনেন।

যদুবয়রা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম আসাদ বলেন, “পরিষদের বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া আছে। সরকারের কাছে সুষ্ঠু বিচার দাবি করি।”

যদুবয়রা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক পদে থাকা ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, “ষড়যন্ত্র করে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা ছুটির রাতে পরিষদ চত্বরে ছাত্রলীগের কেক কেটেছিল। সেজন্য বিএনপির লোকজন কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দিয়েছিলেন। এতে জনগণের ভোগান্তি হচ্ছিল। তাই সোমবার শত শত সেবাপ্রত্যাশী নারী তালা ভেঙে আমাকে বাড়ি থেকে পরিষদে নিয়ে এসেছেন।”

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলায়মান শেখ বলেন, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। সেখানকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।

কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম মিকাইল ইসলাম বলেন, পরিষদের ঘটনায় দুটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। এগুলো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। নির্দেশনা পেলে তা বাস্তবায়ন করা হবে।

Link copied!