রংপুরে আত্মহত্যার সাত মাস পরে কবর থেকে বর্ষা হোসাইন বর্না (২০) নামের এক তরুণীর লাশ উত্তোলন করেছে সিআইডি।
সোমবার (২০ মার্চ) দুপুরে নগরীর খাসবাগ এলাকায় পারিবারিক কবরস্থান থেকে লাশটি উত্তোলন করা হয়।
সিআইডি রংপুরের পুলিশ পরিদর্শক শামসুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, খাসবাগ এলাকার বেলাল হোসেনর মেয়ে বর্ষা হোসাইন ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করতেন। প্রতিবেশী রিপন মিয়ার ছেলে জিয়াদ হোসেনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। জিয়াদ বিয়ের প্রলোভন দিয়ে বর্ষার সঙ্গে শারিরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে বর্ষা গর্ভবতী হয়ে পড়লে তার ও জিয়াদের পরিবারকে জানান।
জিয়াদের পরিবার গর্ভের সন্তান নষ্ট করে ফেলতে বলেন। বর্ষা রাজি না হওয়ায় তারা নানারকম কটুক্তি করতে থাকে। পরবর্তী সময়ে অপমান সহ্য করতে না পেরে গত বছরের ২ সেপ্টম্বর রাতে বর্ষা আত্মহত্যা করেন। এঘটনায় ইউডি মামলা করা হয়।
অপরদিকে বর্ষার মা শাহিনা বেগম রংপুর নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ আদালতে ৬ জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার আসামিরা হলেন জিয়াদ হোসেন, ছবি বেগম, মনি বেগম, সিরাজ উদ্দিন, সাজু মিয়া ও মো. রিফাত।
মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের জন্য গত ১২ জানুয়ারি আদালত কবর থেকে লাশ উত্তোলন করার অদেশ দেন।