যশোরের ঝিকরগাছায় এক নারীর (৪৫) মাথার চুল কেটে মুখে কালি মাখিয়ে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। পরে এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ ঘটনায় পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন ঝিকরগাছার বেনেয়ালি কলাবাগান এলাকার শিমুল হোসেন, পদ্মপুকুর গ্রামের শারমিন আক্তার রুমি, বেনেয়ালি গ্রামের রনি বেগম ও পদ্মপুকুর গ্রামের রহিমা।
ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাবলুর রহমান খান বলেন, ভুক্তভোগী নারী তার সাবেক পুত্রবধূর নতুন স্বামীর বাড়িতে সঙ্গে দেখা করতে যান। এ সময় ওই বাড়ির লোকজন তাকে ধরে মাথার চুল কেটে দেয় ও মারধর করে।
এ ব্যাপারে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা হলে পুলিশ চার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
ভুক্তভোগী নারী অভিযোগ করেন, গত রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বেনেয়ালি গ্রামে সাবেক পুত্রবধূকে দেখতে গেলে সাবেক পুত্রবধূর বর্তমান স্বামী শিমুল হোসেন, তার চাচি শারমিন আক্তার রুমি, চাচি শাশুড়ি রনি বেগম, মা রহিমা বেগমসহ ছয়জন তার মাথার চুল কেটে মুখে কালি মাখিয়ে দেয়।
এ সময় তারা বাঁশের লাঠি দিয়ে মারধরও করে। সন্ধ্যা পর্যন্ত বাড়ির পিলারের সঙ্গে বেঁধে রাখে। পরে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাকে পুলিশে দেওয়ার চেষ্টা করে তারা। তাকে নির্যাতনে সময় বেশ কয়েকজন ভিডিও করে তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়।
ঝিকরগাছার গদখালি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বর আবুল কাশেম বলেন, ‘তাবিজ-কবজ করার সন্দেহে ওই নারীকে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়েছে বলে শুনেছি। এভাবে একজন মানুষকে নির্যাতন করা ঠিক হয়নি। পুলিশ আসামিদের আটক করেছে।’