সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের চেয়ে তার স্ত্রী হনুফা আক্তারের অর্থ-সম্পদ বেশি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলা রিটার্নিং কার্যালয়ে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া হলফনামা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, মুজিবুল হকের বার্ষিক আয় ১৬ লাখ ১৭ হাজার ৩০০ টাকা। এর মধ্যে সংসদ সদস্য হিসেবে সম্মানী ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা এবং আয়কর আইনজীবী হিসেবে প্রাপ্ত পেশাগত আয় ১৪ লাখ ১১ হাজার ৩০০ টাকা। বাসাভাড়া দুই লাখ টাকা, কৃষিখাত থেকে আয় ছয় হাজার।
অস্থাবর সম্পদ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন, নগদ টাকা আছে চার লাখ ৩২ হাজার ৮১০ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা তিন লাখ ৯৯ হাজার ৮৯০ টাকা। তার ৭২ লাখ ৩২ হাজার ৭৫৩ টাকা মূল্যের একটি মোটরগাড়ি আছে। সোনাসহ অন্যান্য মূল্যবান জিনিস আছে ৯৩ হাজার টাকার।
স্থাবর সম্পদ হিসেবে কৃষিজমি রয়েছে এক দশমিক ৩৩ একর, যার মূল্য দেখানো হয়েছে ছয় লাখ ৯৮ হাজার ৯৬৪ টাকা। অকৃষি জমি রয়েছে দশমিক ১৬ একর। তার দাম ধরা হয়েছে ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪০০ টাকা। মুজিবুল হকের নামে এক কোটি ৯৬ লাখ ৮৭ হাজার ৫৪২ টাকা মূল্যের দুটি আবাসিক দোতলা ভবন ও একটি বাণিজ্যিক ছয়তলা ভবন রয়েছে। এছাড়া রয়েছে এক কোটি ৪৪ লাখ ৪৩ হাজার টাকার একটি অ্যাপার্টমেন্ট।
অন্যদিকে হলফনামায় স্ত্রী হনুফা বেগমের নামে থাকা সম্পদ বিবরণীতে দেখা গেছে, মুজিবুল হকের চেয়ে তার স্ত্রীর সম্পদের পরিমাণ বেশি। তার নগদ টাকা রয়েছে ২০ লাখ ৫৪ হাজার ৬৬৮ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা আছে ১১ লাখ ৯৮ হাজার ৪৯৪ টাকা। সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সে শেয়ার ক্রয় ও জীবন বিমায় ৬৯ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। স্থায়ী আমানত ৯ লাখ ৭৭ হাজার ৮৩৭ টাকা। সোনা রয়েছে ৮৭ ভরি। ক্রোকারিজ সামগ্রী রয়েছে ২০ হাজার টাকার। জমি রয়েছে দশমিক ৫০১ একর, যার মূল্য ১৯ লাখ ২২ হাজার ৪৫৮ টাকা।
এক কোটি ৫০ লাখ ৩১ হাজার ১৫৮ টাকা মূল্যের একটি অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে হনুফা আক্তারের। এছাড়া ছেলেমেয়েদের নামে দুই কোটি ৩০ লাখা ৪৫ হাজার টাকার সম্পদ হলফনামায় উল্লেখ করেছেন নৌকার এ প্রার্থী।
কুমিল্লা-১১ (সদর) আসন থেকে টানা তিনবার সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হয়েছেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল হক। মন্ত্রী হিসেবে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন পাঁচ বছর। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে এবারও আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন তিনি।