টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ঘুমন্ত স্বামীর গোপণাঙ্গ কেটে শিশু সন্তান রেখেই পালিয়েছেন জাকিয়া (২৬) নামের এক গৃহবধূ।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) ভোরে উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের রাউৎবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগীর নাম ফিরোজ (২৯)। তিনি ওই গ্রামের শাহজাহানের ছেলে এবং জাকিয়া পাশ্ববর্তী জিগাতলা গ্রামের জামিলের মেয়ে।
এ ঘটনার পর ফিরোজকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে সেখানকার চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠান।
প্রতিবেশী ও স্বজনরা জানান, পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে ছয় বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে তাদের। সংসার জীবনের তারা প্রায় সময়ই একে অপরকে দোষারোপ করে বিভিন্ন সময় ঝগড়া করতেন। এ নিয়ে সম্প্রতি একাধিকবার গ্রাম্য সালিশও হয়। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাতেও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে বুধবার ভোরে ফিরোজের গোপনাঙ্গ কেটে সন্তান রেখেই পালিয়ে যান জাকিয়া।
ভুক্তভোগী ফিরোজ বলেন, “ভোরে ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ করে সে গোপনাঙ্গ কেটে ফেলে। পরে আমার ডাক-চিৎকার শুনে পরিবার ও প্রতিবেশীরা এসে উদ্ধার করে। তারা আসার আগে জাকিয়া পালিয়ে যায়।“
ফিরোজের মামা আরজু জানান, বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। ভোরে ঘুমানো অবস্থায় ভাগিনার লিঙ্গ কেটে ফেলে তার স্ত্রী। পরে পাশের লোকজন খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তার স্ত্রী বাড়ি থেকে পালিয়েছে।
গোবিন্দাসী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দুলাল হোসেন চকদার বলেন, “বিষয়টি জেনেছি। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি ফিরোজকে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন স্থানীয়রা। স্বামী-স্ত্রীর মাঝে সাংসারিক ঝামেলা চলছিল। এনিয়ে সম্প্রতি একাধিকবার দরবার-সালিশ করা হয়েছে।”
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপসহকারী মেডিকেল অফিসার কাজল তালুকদার বলেন, লিঙ্গের পুরো অংশ কেটে ফেলায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান উল্লাহ বলেন, “ঘটনাটি জেনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”