লালমনিরহাটের আদিতমারীতে অণ্ডকোষ চেপে ধরে ইসমাইল হোসেন (৪৫) হত্যার অভিযোগে স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাতে উপজেলার ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব শালমারা গ্রামে বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ইসমাইল হোসেন ওই গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে।
আটক নিহতের স্ত্রী ইতিমনি (৩০) লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের দুরাকুটি পূর্বপাড়া গ্রামের জগদীশের মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১২ বছর আগে ধর্মান্তরিত হয়ে মায়া রাণী থেকে ইতিমনি নামধারণ করে ইসমাইল হোসেনকে বিয়ে করেন। বিয়ের কয়েক বছর পরে ইতিমনি পূর্ব ধর্মীয় এক যুবকের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। এরপর থেকে বিভিন্নজনের কাছে ঋণ নিয়ে প্রেমিকের কাছে জমা দেন। সেই ঋণ শোধ করতে ইসমাইলকে চাপ দেওয়ায় তাদের সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
বৃহস্পতিবার রাতে টাকা নিয়ে তাদের মধ্যে বিবাদ হলে ইতিমনি প্রথমে তার স্বামী ইসমাইলকে দা দিয়ে আঘাত করেন। ইসমাইলের চিৎকারে স্থানীয়রা এসে উদ্ধার করে আপোস করে দিয়ে চলে যান। এরপর দ্বিতীয় দফায় স্বামীর অণ্ডকোষ হাত দিয়ে চাপ দিয়ে ধরলে তার মৃত্যু হয়। পরে স্থানীয়রা এসে ইতিমনিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। রাতেই পুলিশ ইসমাইলের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
নিহতের ভাই জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “ইতিমনি পরকীয়া প্রেমে বাধা দেওয়ায় তিনিআমার ভাইকে হত্যা করেছে। আমরা মামলা দায়ের করব।”
আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ উন নবী বলেন, নিহতের স্ত্রী ইতিমনিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। নিহতের পরিবার মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
