আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে এসে মামলা লড়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা চিলারং ইউনিয়নের মোলানী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গণসংযোগ অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, “বিগত স্বৈরাচার হাসিনার শাসন আমলে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর ও জনগণের ওপর তীব্র নির্যাতন করা হয়েছে। গুম, খুন, ভিত্তিহীন মামলা, লুটপাট, টাকা পাচার, বাকস্বাধীনতা হরণ, ভোট চুরি করেছে। আমাদের নেতাকর্মীদের গুম করা হয়েছে, লাখ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্যাতন করেছে, ঘরে থাকতে দেয় নাই। আমরা তো কোথাও পালিয়ে যাই নাই। আদালতে মিথ্যা মামলা আইনের মাধ্যমে ফেস করেছি। উকিল ধরে জামিন নিয়েছি। আপনি (শেখ হাসিনা) পালিয়ে আছেন কেন? আপনিও মামলা লড়েন। আপনি দেশে এসে দাঁড়ান না দেখি।”
জনগণের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আপনারা অনেকে মনে করেন স্বৈরাচার শেখ হাসিনা আবারও দেশে ফিরে আসবে। তিনি তো ১৫ বছর দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তার বাবা শেখ মুজিবুর একজন বিখ্যাত মানুষ ছিলেন। তার তো দেশ থেকে পালানোর কথা ছিল না। তিনি পালালেন কেন? কারণ তিনি একজন ডাইনি ছিলেন। জনগণের ওপর এমন নির্যাতন করেছেন, যে তিনি পালাতে বাধ্য হয়েছেন। হাসিনা দেশে ফিরে রাজনীতি করলে আমাদের কিছু করতে হবে না, জনগণই তাকে দেখে নেবে।”
নিজ নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগের সাবেক এমপির জনপ্রতিনিধিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে মির্জা ফখরুল বলেন, “এ এলাকায় রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন করা হয়নি। কারণ আপনারা বিএনপি সমর্থন করেন। এমন অনেক এলাকা আছে বিএনপি সমর্থনের কারণে বঞ্চিত করা হয়েছে। আপনারা বলেন এমন ব্যক্তিরা কি জনপ্রতিনিধি হওয়ার যোগ্যতা রাখেন? আসুন আমরা সবাই মিলে একটা ভালোবাসার দেশ গড়ি।”
নিজ দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “বিএনপির নেতাকর্মীরা যেন আওয়ামী লীগের মতো অন্যায় না করে। এতে মানুষ ভালোবাসবে না। দলের কোনো নেতাকর্মী অন্যায় করলে যাতে জেলার নেতারা তাদের শক্ত হাতে দমন করে অথবা পুলিশের হাতে তুলে দেয়। তাই অপকর্ম বন্ধ করুন, না হলে আওয়ামী লীগের মতো বিএনপিকেও জনগণ ছুড়ে মারবে।”
গণসংযোগে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদ প্রমুখ।