ঝুঁকিপূর্ণ একটি সেতু দিয়ে বরযাত্রীবাহী মাইক্রোবাস পার হতে গিয়ে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১০ জন। বরযাত্রী বহনকারী মাইক্রোবাসটি সেতু ভেঙে খালে পড়ে গেলে এসব প্রাণহানি ঘটে। ভয়াবহ ঘটনাটি শনিবার (২২ জুন) দুপুর দুইটার দিকে বরগুনার আমতলীতে চাওড়া ও হলদিয়া হাটের সঙ্গে সংযুক্ত আগে থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে ঘটেছে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস, স্থানীয় প্রশাসন ও বাসিন্দারা খালে ডুবে যাওয়া গাড়ি ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধারে কাজ করছেন। তবে হতাহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। আমতলী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার নুর হোসেন ৯ জনের মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি বিকেলের দিকে নিশ্চিত করেছেন।
তবে ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে বরযাত্রীবাহী মাইক্রোবাস পার হওয়ার বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। স্থানীয় হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান (মিন্টু মল্লিক) বলেছেন, সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। মাইক্রোবাস আর একটি অটোরিকশা সেতুতে উঠার পরেই নড়তে থাকে সেতু।
মিন্টু মল্লিক বলেন, এক পর্যায়ে সেতুটি ভেঙে পড়ে। এতে মাইক্রোবাস ও অটোরিকশা অনেক নিচে খালের পানিতে পড়ে যায়। এসময় অটোরিকশায় থাকা যাত্রীরা বের হয়ে আসতে পারলেও মাইক্রোবাসে থাকা বরযাত্রীরা বের হতে পারেননি।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ও স্থানীয়রা মিলে ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করে আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়েছেন। তবে চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আরও জানিয়েছেন, মাইক্রোবাসে থাকা বেঁচে যাওয়া লোকজনের ভাষ্য, আরও দুই ব্যক্তি ছিলেন গাড়িতে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছেছি। নিখোঁজদের উদ্ধার করতে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা কাজ করছেন।
ভয়াবহ এমন দুর্ঘটনার পরে আলোচনায় এসেছে ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটির বিষয়। সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ থাকলেও পারাপারের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনে কোনো নোটিশ দেওয়া ছিল না। এতে বরযাত্রীরা বুঝতে উঠতে পারেননি যে সেতুটি পার হওয়া ঝুঁকিপূর্ণ।