• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পূর্ব সুন্দরবনে বাঘের অস্বাাভাবিক মৃত্যু বেশি কেন?


মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৪, ০৬:৫৮ পিএম
পূর্ব সুন্দরবনে বাঘের অস্বাাভাবিক মৃত্যু বেশি কেন?

পূর্ব ও পশ্চিম এ দুই ভাগে বাংলাদেশের সুন্দরবন বিভক্ত। নানা কারণে সুন্দরবনে বাঘের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে সবচেয়ে বেশি বাঘের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে পূর্ব সুন্দরবনে।

বন বিভাগের তথ্য মতে, ২০০১ সাল থেকে ২০২৪ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গত ২৩ বছরে সুন্দরবনে নানাভাবে ৪১টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগে ২৫টি এবং পশ্চিম বিভাগে ১৬টি। সবশেষ গত সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার পূর্ব সুন্দরবনের আওতাধীন কচিখালী এলাকার খাল থেকে একটি বাঘের মরদেহ উদ্ধার করে বন বিভাগ।

খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দে জানান, বন বিভাগের সদস্যরা সোমবার বিকেলে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের কচিখালী এলাকায় টহল দেওয়ার সময় খালে একটি মৃত বাঘ ভাসতে দেখেন। তারা দ্রুত ছুটে গিয়ে মৃত বাঘটি উদ্ধার করেন।

বন সংরক্ষক আরও জানান, বাঘটির শরীরে কোনো আঘাত বা গুলির চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর বাঘটির মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তবে রোগাক্রান্ত হয়ে বাঘটি মারা গেছে বলে ধারণা করছেন এই বন কর্মকর্তা।

এর আগে ২০২২ সালের ২৮ জানুয়ারি সুন্দরবনের দুবলার চরের কাছে রুপার খাল থেকে মৃত অবস্থায় একটি বাঘ উদ্ধার করা হয়। ২০২১ সালের মার্চে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের ভোলা নদীর ধনচেবাড়িয়ার চর থেকে মৃত অবস্থায় একটি বাঘ উদ্ধার করা হয়। ২০২০ সালের জুলাই মাসে মাত্র সাড়ে ৫ মাসের ব্যবধানে সুন্দরবন পূর্ব ও পশ্চিম বিভাগ এলাকা থেকে দুটি মৃত বাঘ উদ্ধার করা হয়।

পূর্ব সুন্দরবনের পর্যটন স্পট করমজলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাওলাদার আজাদ কবির জানান, পূর্ব সুন্দরবনের সঙ্গে লোকালয়কে বিছিন্ন করা খড়মা নদী শুকিয়ে গেছে। এ কারণে বাঘ লোকালয়ে অনায়াশে খাবারের লোভে ঢুকে পড়ছে। গণপিটুনির শিকার হয়ে অনেক বাঘ মারা গেছে। তাছাড়া ঝড়-জলোচ্ছাস, অসুস্থতা, বার্ধক্যজনিত কারণে পূর্ব সুন্দরবনে অনেক বাঘ মারা গেছে।

২০১৮ সালের সর্বশেষ জরিপ অনুসারে সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে বাঘের সংখ্যা ১১৪টি। বর্তমানে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা জানতে ক্যামেরা ট্র্যাপিং পদ্ধতির মাধ্যমে বাঘ গণনার কাজ চলছে।

Link copied!