জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, “গত ১৬ বছরে শুধু শেখ পরিবার আর অল্প কিছু মানুষের উন্নয়ন হয়েছে। তারা ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডায় শত শত গাড়ি-বাড়ি করে রেখেছেন।”
রোববার (১২ জানুয়ারি) রাতে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে পৌর শহীদ মিনারে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার সম্পূর্ণ বিলোপ, নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বিনির্মাণ এবং প্রোক্লামেশন অব জুলাই রেভলিউশনের জন-আকাঙ্ক্ষা অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে গণসমাবেশে ও জুলাই ঘোষণার লিফলেট বিতরণ এবং চা শ্রমিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, “শেখ হাসিনার চোখ কি গোপালগঞ্জ থেকে কমলগঞ্জ আসেনি, টুঙ্গীপাড়া থেকে চা শ্রমিকরা যে পাড়ায় থাকে সেই পাড়াগুলোতে আসেনি। উন্নয়ন হয়েছে শুধু শেখ পরিবারের। আর অল্প কিছু মানুষের। তারা ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডায় শত শত গাড়ি-বাড়ি করে রেখেছে।”
সারজিস বলেন, “এনটিসির চেয়ারম্যানও ছিলেন শেখ কবির। এই শেখ ও শেখের বেটিরা যদি সব লুটে-পুটে খায়, তাহলে চা শ্রমিকরা কী খাবে? চা শ্রমিক মা-বোনদের মুখের দিকে চাওয়া যাচ্ছে না। রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে কী একটা অবস্থা হয়ে আছে। বাগানে এখনো শত বছর আগের দাস প্রথা রয়ে গেছে।”
এই ছাত্র নেতা আরও বলেন, “বাংলাদেশ এখনো অনেক কিছুর জন্য ভারতের ওপর নির্ভরশীল। এতদিন এটা বাধ্যতামূলক করে রাখা হয়েছিল। আজকে ওই দিকের কয়েকজন মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আর এটা-ওটা বাংলাদেশে পাঠাবো না।’ তাদের কথা শুনে মনে হয়, তারা আমাদের ফ্রি দেন।”
সারজিস আলম বলেন, “এখন বাণিজ্য কমে যাওয়ায় তাদের টাকা কমে গেছে। তাই তারা আবার ব্যবসা করার কথা বলছে। আমাদের কথা হচ্ছে, কোনো অন্যায় যদি কোনো মালিক করে, আমরা তা মানবো না। আবার দেশের বা দেশের বাইরেরও যদি কেউ করে, তাহলেও এটা আমরা হতে দেব না। তার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যে লক্ষ্য নিয়ে আমরা এই আন্দোলন শুরু করেছি, সবার ঐক্যবদ্ধ থাকলে আমরা বিজয়ী হবোই।”
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের মনু-ধলাই ভ্যালির সভাপতি ধনা বাউরির সভাপতিত্বে কুরমা চা বাগান মাঠে অনুষ্ঠিত চা শ্রমিক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক প্রীতম দাশ। এছাড়া জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।