ইলিশের দাম বেশি হওয়ার কারণে সাধারণ মানুষ তা খেতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, “এটা বড় ধরনের অন্যায়। এই অন্যায় থেকে আমরা কীভাবে পরিত্রাণ পেতে পারি সেই চেষ্টা করতে হবে। ইলিশ আমাদের সম্পদ।”
শনিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বর লঞ্চঘাট পদ্মা নদীর পাড়ে ইলিশ প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান উপলক্ষে জেলেসহ বিভিন্ন পর্যায়ের স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে সচেতনতা সভায় এসে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
এ সময় প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা জেলেদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আমরা যদি ইলিশের এই প্রজনন মৌসুমটা মেনে চলি এবং ইলিশ সম্পদ রক্ষা করতে পারি। তাহলেই নদীতে ইলিশের বৃদ্ধি হবে এবং বাজারে এর দাম কমানোর সুযোগ সৃষ্টি হবে। আপনারা আমাদের সেই সুযোগটা করে দেবেন।”
ফরিদা আখতার আরও বলেন, “আপনারা (জেলেরা) দাবি করেছেন সুরেশ্বর ঘাটকে একটি মাছের ঘাট হিসেবে তৈরি করা। আমি কথা দিচ্ছি বিএফডিসির সাথে কথা বলে এই সুরেশ্বর ঘাটকে একটি মৎস্য অবতারণ কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এছাড়া এই এলাকার জেলেদের জন্য বিশেষ কর্মসূচি নেওয়া হবে। ভিজিএফের ২২ দিন কর্মসূচির আওতায় যেখানে জেলেদের ২৫ কেজি করে চাল দেওয়া হতো, আমরা সেখানে জেলেদের জন্য ৩০ কেজি করে চাল দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।”
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জিল্লুর রহমান, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্র, শরীয়তপুরের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক সাদিয়া জেরিন, শরীয়তপুর জেলা পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম।