নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির দেওয়া শোকজের (কারণ দর্শানোর নোটিশ) জবাব দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান।
রোববার (৩ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কার্যালয়ে শোকজের জবাব দেন তিনি। এরপর তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
শামীম ওসমান বলেন, “বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলোর জ্বালাও-পোড়াওয়ের বিরুদ্ধে শান্তি মিছিল করেছেন নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানার আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা। শান্তির প্রতীক নৌকা, যখন নির্বাচন থাকে না তখনো মিছিলের মধ্যে নৌকা শব্দটি আসে। সেই কারণে কোনো জায়গায় নৌকা প্রতীক এসেছে।”
উপস্থিত সাংবাদিকদের শামীম ওসমান বলেন, “আপনারা দেখেছেন, আমি নির্বাচনী আচরণবিধি মানার চেষ্টা করেছি। যখন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছি, সে সময় কোনো মিছিল বা আমার দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে আসিনি। আমি আমার ছেলেকে নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। যেহেতু ওগুলো একটি রাজনৈতিক প্রোগ্রাম, সেহেতু নির্বাচন কমিশন আমাকে চিঠি দিতে পারে না। তারপরও আমি নির্বাচন কমিশনের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই, ধন্যবাদ জানাই এবং গর্ববোধ করি।”
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য বলেন, “নির্বাচন কমিশনের কাছে আমাদের দ্বিতীয় দায়রা জজের মাধ্যমে অনুরোধ জানিয়েছি, শুধু নির্বাচনের প্রার্থীদেরই নিয়ন্ত্রণ নয়, যারা নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য সারা দেশে জ্বালাও-পোড়াও করছে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। জনগণ যেন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, সে বিষয়ে যেন তারা কাজ করেন।”
নির্বাচন কমিশনের প্রশংসা করে শামীম ওসমান বলেন, “আমরা এমনই নির্বাচন কমিশন আশা করেছিলাম, যারা কোনো বিষয়েই আপস করবেন না। অনেকের মুখে চুনকালি দিয়ে নির্বাচন কমিশন প্রমাণ করেছে, শেখ হাসিনার অধীনে বর্তমান নির্বাচন কমিশন একটি ‘স্বাধীন কমিশন’।”
শামীম ওসমান আরও বলেন, “অনেকে দেশ-বিদেশে এই নির্বাচন কমিশনকে নিয়ে প্রশ্ন করেছেন। আমি আমার জীবনে অনেকগুলো নির্বাচন করেছি। আমি দেখি নাই কখনো একটি পত্রিকার সংবাদ পরিবেশনের কারণে প্রার্থীকে তলব করা হয়। যেখানে প্রার্থী উপস্থিত নাই। সেই মোতাবেক আমার দুঃখ পাওয়ার কথা। কিন্তু আমি দুঃখ না পেয়ে আনন্দিত হয়েছি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশন প্রমাণ করেছেন তারা যথেষ্ট শক্তিশালী এবং তাদের ওই দক্ষতা আছে। তারা বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন উপহার দিতে পারবে।”