ফরিদপুরের নগরকান্দায় সংঘর্ষে একজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার ঘটনায় নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন শামা ওবায়েদ। রোববার (২৫ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নিজের অবস্থান তুলে ধরেন তিনি ।
বিবৃতিতে শামা ওবায়েদ বলেন, “আমার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিএনপির প্রাক্তন মহাসচিব প্রয়াত কেএম ওবায়দুর রহমানের জন্মস্থান এবং আমার শেষ ঠিকানা ফরিদপুরের নগরকান্দায় ২১ আগস্ট ঘটে যাওয়া সংঘর্ষে একজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার ঘটনায় গণমানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণের দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের দিকনির্দেশনায় সাংগঠনিক যে সিদ্ধান্ত গৃহীত তাকে আমি পূর্ণাঙ্গ সমর্থন জানাই। পরবর্তী সময়ে ২৪ আগস্ট আমাকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা হয়েছে।”
শামা ওবায়েদ আরও বলেন, “গেল ২১ আগস্ট ফরিদপুরে সংঘর্ষের ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। দলের পক্ষ থেকে আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব আমি চালিয়ে যাচ্ছি। ২১ আগস্টের সংঘর্ষ ও নিহতের ঘটনা আমি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অনেককেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি ও নামসহ তথ্য প্রকাশ হয়েছে সংঘর্ষকারীদের পরিচয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনসহ শেখ হাসিনার অবৈধ ক্ষমতার সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য।”
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ১/১১ এর অবৈধ সরকারের নির্যাতনের শিকার গুরুতর আহত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের, মহাসচিব, স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, উপদেষ্টা, যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক, নির্বাহী কমিটির সদস্যরা, দলের অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতারা, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সংগ্রামরত সকল পেশাজীবী সংগঠনসহ দেশে বিদেশে অবস্থানরত সর্বোপরি বিএনপির সঙ্গে আমার সম্পর্ক রক্তের। যেকোনো পরিস্থিতিতে দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে দল নির্ধারিত কর্মসূচি বাস্তবায়নে আমি সচেষ্ট থাকব।”