নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় করা ধর্ষণ মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন হেফাজতে ইসলামের নেতা ও খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মামুনুল হক। এ সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সাড়ে ১১টায় নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক জেসমিন আরা বেগম এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার পর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মামুনুল হক। তিনি জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তার সরকারের লোকজন তাকে ও তার পরিবারকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। এ রায়ের মাধ্যমে দেশের বিচার ব্যবস্থার সচ্ছ্বতা ফিরে এসেছে।
মামলার আইনজীবী ওমর ফারুক নয়ন জানান, মামলার বাদী জান্নাত আরা ঝর্ণাসহ ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৬ জনের পূর্ণ সাক্ষ্যগ্রহণ করার পর আদালত আজ এ রায় ঘোষণা করেন। এ রায়ের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। এ রায়ের মাধ্যমে দেশের আলেম সমাজ কলঙ্ক মুক্ত হলো।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ রয়েল রিসোর্টে মামলার বাদী জান্নাত আরা ঝর্ণাসহ মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। পরে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে নিয়ে যান।
পরবর্তীতে ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন তার সঙ্গে থাকা ওই নারী। এরপর ২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে মামুনুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু মামুনুল হক দাবি করে আসছিলেন, ঝর্ণা তার দ্বিতীয় স্ত্রী।