৫ আগস্ট গাজীর রূপসী ও কর্নগোপ কারখানায় লুটপাটের পর লাখ লাখ টাকার মালামাল বিক্রির পর আবারও লোভে পড়ে ২৫ আগস্ট অনেকেই লুটপাট করতে যায় গাজী টায়ার ফ্যাক্টরিতে। সেই অতিলোভই কাল হলো গাজী টায়ারের ছয়তলা ভবনের ভেতরে আটকে পড়া ব্যাক্তিদের জন্য। তেমনি একজন কাহিনা এলাকার হাসান মিয়া। তিনি ৫ আগস্ট গাজী টায়ার কারখানা থেকে মালামাল এনে অন্যত্র বিক্রি করে দেন। ২৫ আগস্ট আবার লোভে পড়ে মালামাল লুট করতে গিয়ে ভবনের ভেতরেই আটকে পড়েছেন বলে জানা গেছে। বর্তমানে তার পরিবার তার খোঁজ খবর পাচ্ছে না।
রোববার (২৫ আগস্ট) রাতে দেওয়া আগুন জ্বলেছে প্রায় ২৪ ঘণ্টা। এ ঘটনায় অন্তত ১৭৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে দাবি করেছেন তাদের স্বজনরা৷
নিখোঁজদের মধ্যে কয়েকজন নারীর নামও পাওয়া গেছে৷ তাদের প্রাথমিক একটি তালিকাও করেছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা৷
জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের হলে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজীর রূপসী এলাকার গাজী টায়ার কারখানা ও কর্নগোপ এলাকার গাজী পাইপ কারখানার অগ্নিকাণ্ড ও ব্যাপক লুটপাট চালায় বিক্ষুদ্ধ জনতা। গত ১৫ বছরে গাজী ক্ষমতায় থাকাকালীন সময় সাধারণ মানুষের জমি দখল ও নির্যাতনসহ বিভিন্ন অত্যাচার চালায়। ১৫ বছরের ক্ষোভের বহিপ্রকাশ থেকে সাধারণ মানুষ গাজীর দুই কারখানা থেকে লুটপাট চালিয়ে আগুন দিয়ে দেয়। গাজীর কারখানা থেকে মালামাল লুট করে অনেকেই কয়েক লাখ টাকার মালিক বনে যান।
গত ২৪ আগস্ট রাতে গাজী হত্যা মামলার গ্রেপ্তার হওয়ার খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। গত ২৫ আগস্ট আদালত গাজীর ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ খবরে লোভে পড়ে উৎসুক জনতা ও দুটি দেশীয় অস্ত্রধারী গ্রুপ আবারো লাখ লাখ টাকা কামানোর লোভে পড়ে রূপসী কারখানাতে আবারও লুটপাট চালাতে যায়।
এখন কারখানায় আটকে পড়াদের ভাগ্যে কী ঘটেছে, সেটাই দেখার বিষয়।