বাগেরহাটের মোংলা পৌর শহরের মোর্শেদ সড়কের কিশোরী তন্বীর (১৭) বাড়িতে এসেছেন এক তরুণী। নাম সুবর্ণা (২০)। তিনি ছুটে এসেছেন নারায়ণগঞ্জ থেকে। যেখানে একটি গার্মেন্টসে কাজ করেন। সুবর্ণা এসে তন্বীকে নিজের স্ত্রী দাবি করছেন। এমন উদ্ভট দাবিতে হতবাক তন্বীর স্বজনরা। এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার (১২ এপ্রিল)।
সুবর্ণার বক্তব্য অনুযায়ী, প্রায় তিন মাস আগে টিকটকের মাধ্যমে তন্বীর সঙ্গে পরিচয় হয়। পরে তারা যুক্ত হন ফেসবুকে। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের জন্ম হয়। এমনকি তন্বীকে সুবর্ণা বিয়েও করেছেন বলে দাবি করেন।
সুবর্ণা বলেন, টিকটকের মাধ্যমে সম্পর্ক হওয়ার পর আমরা কোরআনকে সাক্ষী রেখে একে অপরকে বিয়ে করেছি। আমি এখন আমার বউকে (তন্বী) নিয়ে যেতে এসেছি। আমি ওকে ছাড়া বাঁচব না। অন্যদিকে তন্বী বলে, টিকটক থেকে পরিচয় হওয়ার পর ফেসবুকে তার সঙ্গে যুক্ত হই। পরে সে একটা গ্রুপে আমাকে যুক্ত করে। আমাকে মজা করে সুবর্ণা বউ বলে ডাকতো। একসময় সে আমাকে বিয়ে করতে চায়। আমি বলি তুমি কোরআন শরিফ ছুঁয়ে কসম কাটো। ও কাটতে চায় না। আমাকে কসম কাটায়। এখন আমাকে নিতে আসছে।
তন্বীর পরিবার জানায়, গত শুক্রবার তন্বীর বান্ধবী পরিচয়ে তাদের বাড়িতে আসে সুবর্ণা নামের সেই তরুণী। তাদের সম্পর্কের ব্যাপারে তারা কিছুই জানেন না। তবে যোগাযোগ করা হলে সুবর্ণার মা পারভীন বেগম বলেন, আমাদের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে মেয়েকে নিয়ে আসব। আমাদের একটু সময় দেন।
স্থানীয়রা বলছেন, মেয়ে হয়ে অন্য আরেকটি মেয়েকে স্ত্রী হিসেবে দাবি করায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তাদের দেখতে এলাকাবাসী ভিড় করেন।
মোংলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম বলেন, তারা দুজন বান্ধবী। দুজনেই টিকটক করে। সুবর্ণা নারায়ণগঞ্জ থেকে এসেছে। স্থানীয়রা ঘটনাটি জানালে শনিবার (১৩ এপ্রিল) সুবর্ণাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তার পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছে। পরিবারের লোকজন এলে তাদের কাছে সুবর্ণাকে তুলে দেওয়া হবে।