অবশেষে সোমালিয়ার উপকূলে জিম্মি হওয়া জাহাজ ও ২৩ নাবিক মুক্ত হয়েছেন। শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৩টার দিকে জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তবে জিম্মি দশা থেকে মুক্ত হওয়ার আগ মুহূর্তে নাবিকদের সঙ্গে কী ঘটেছিল এবং কীভাবে তারা মুক্তিপণের অর্থ নিলো তা পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছেন এক নাবিক।
মুক্ত হওয়ার আগ মুহূর্তে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে এক নাবিক তার পরিবারকে জানিয়েছেন, প্রথমে নাবিকদের জাহাজের ডেকে নিয়ে এসে এক লাইনে দাঁড় করায় দস্যুরা। এ সময় পেছন থেকে নাবিকদের দিকে অস্ত্র তাক করে ছিল দস্যুরা। উড়োজাহাজ থেকে নাবিকদের প্রতি ইশারায় হাত তোলার ইঙ্গিত দেওয়া হয়। এরপর সব নাবিক হাত তোলেন। অর্থাৎ সব নাবিক জীবিত আছেন, এমন নিশ্চয়তা পাওয়ার পরই উড়োজাহাজ থেকে ডলারভর্তি ব্যাগ পানিতে ফেলা হয়।
তিনি আরও জানিয়েছেন, জাহাজের পাশে আগে থেকেই স্পিডবোটে অপেক্ষায় ছিল দস্যুরা। ডলারভর্তি ব্যাগ পানি থেকে সংগ্রহ করে তারা। এরপর প্রায় আট ঘণ্টা পর গভীর রাতে দস্যুরা জাহাজটি ছেড়ে যায়।
গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা।
এর আগে ২০১০ সালে ছিনতাই হওয়া একই কোম্পানির জাহাজ এমভি জাহান মণি ১০০ দিনের মাথায় ছেড়ে দেয় দস্যুরা। সে সময় একইভাবে মুক্তিপণের অর্থ সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল বলে ওই জাহাজের নাবিক মোহাম্মদ ইদ্রিস গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন।