দেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর বেনাপোলে ওয়েব্রিজের ওজন স্লিপ নিয়ে জালিয়াতির ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে বন্দর কর্তৃপক্ষের গঠিত ৫ সদস্যর তদন্ত টিমের সুপারিশের ভিত্তিতে ৫ কর্মকর্তাসহ ৬ জনকে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়েছে।
এছাড়া কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৮ সিএন্ডএফ এজেন্টকে শনাক্ত করেছে। তবে তিন প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স স্থগিত করেছেন তারা। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো রিয়াদ এজেন্সি, সোনালী সিএন্ডএফ এজেন্ট ও রহমত ইন্টারন্যাশনাল।
বদলি হওয়া বেনাপোল বন্দরের কর্মকর্তারা হলেন উপপরিচালক (ট্রাফিক) মনিরুল ইসলাম, উপপরিচালক (প্রশাসন) রেজাউল করিম, সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) রাশেদুল নজিব নাজির, সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) সাইফুর রহমান ভুঁইয়া, ট্রাফিক পরিদর্শক রোকনুজ্জামান আবেদীন ও অফিস সহায়ক রবিউল ইসলাম।
বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল জানান, ৫ জন কর্মকর্তা ও একজন অফিস সহায়ককে প্রধান কার্যালয় থেকে বদলি করা হয়েছে। এটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।
বদলিকৃত কর্মকর্তারা ওজন স্কেলের জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত কি না জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
গত ১৭ আগস্ট বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের উপসচিব আতিকুর রহমান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে তাদের বিভিন্ন জেলায় বদলির বিষয়টি জানানো হয়। এর মধ্যে দুজন উপপরিচালককে প্রধান কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।