মানিকগঞ্জে ডায়াবেটিক হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে প্রশাসনিক কর্মকর্তা নাজমিন আক্তারসহ হাসপাতালের সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা নিতাই কুমারকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে একদল মুখোশধারী দুর্বৃত্তের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুর দেড়টার দিকে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার হিজুলী এলাকায় ৫০ শয্যাবিশিষ্ট ডায়াবেটিক হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।
আহত নাজমিন আক্তার বলেন, দুপুরের দিকে হাসপাতালের নিজ কক্ষে বসে আমি স্টাফদের সঙ্গে কথা বলছিলাম। এ সময় ৩০ থেকে ৪০ জন লোক (মাস্ক পরা) এসে আমাকে কিল-ঘুসি ও রড দিয়ে মারতে মারতে টেনেহিঁচড়ে হাসপাতালের নিচে নিয়ে আসে। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা আমাকে উদ্ধার করে জেলার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে।
নিতাই কুমার বলেন, “আমি রুমে বসে অফিশিয়াল কাজ করছিলাম। এ সময় মুখোশধারী একদল যুবক আমাকে আওয়ামী লীগের দালাল বলে কিলঘুসি মারতে থাকে। আমি কোনো রকমে জীবন নিয়ে অফিস থেকে বের হতে পেরেছি।”
তিনি আরও বলেন, “দুর্বত্তরা মুখোশ পরা থাকায় কাউকে চিনতে পারিনি। এর বেশি আর কিছু বলতে পারছি না।”
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আমান উল্লাহ বলেন, বিষয়টি জানার পর আমরা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পাইনি। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে হাসপাতালের বর্তমান ব্যবস্থাপনা ও পূর্বের কমিটির সঙ্গে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে ঘটনাটি ঘটতে পারে।
জেলা প্রশাসক ও ডায়াবেটিক হাসপাতালের সভাপতি ড. মনোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, “বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ছাড়াও হাসপাতাল এলাকায় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টহল বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।”
এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও তিনি জানান