• ঢাকা
  • রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

পানিবন্দী ৩০ হাজার মানুষ


টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ৯, ২০২৪, ০৯:১৫ এএম
পানিবন্দী ৩০ হাজার মানুষ
পানিতে তলিয়ে গেছে যমুনা নদীর দুর্গম চরাঞ্চলের অসংখ্য ঘরবাড়ি। দুর্ভোগ পড়েছেন বানভাসি মানুষ। ছবি : প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনার পানি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। বালু চরে এখন যে দিকে চোখ যায়, শুধু পানি আর পানি। কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চল গাবসারা, অর্জুনা, গোবিন্দাসী ও নিকরাইল ইউনিয়নের ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন।

এদিকে পানি বৃদ্ধির ফলে পুরো চরাঞ্চল ও প্রত্যন্ত গ্রামগুলো পানিতে কানায়-কানায় পরিপূর্ণ। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন সড়ক ভেঙে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এতে উপজেলার অসংখ্য ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে এবং অনেকের ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে।

সরেজমিনে উপজেলার গাবসারা ইউনিয়নের কালিপুর, রুলীপাড়া, চন্ডিপুর, জয়পুর, পুংলীপাড়া, রেহাইগাবসারা ও ফজলের হাট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পুরো চরাঞ্চল পানিতে ভরপুর। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মন্দির, ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। চরাঞ্চলের অনেকে নৌকায় বা স্বজনদের বাড়ি ও উঁচু জায়গা আশ্রয় নিয়েছেন।

গাবসারার কালিপুর গ্রামের সবুর আলী বলেন, “৩-৪ দিন ধরে পানিবন্দী হয়ে আছি। ১২ জনের পরিবার, শিশু সন্তান ও বৃদ্ধদের নিয়ে চরম দুর্ভোগে রয়েছি। চরে সব জায়গায় পানি আর পানি। এছাড়া কাজকর্ম বন্ধ হয়ে গেছে। ঘরে খাবারও নেই, দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট। কোনো রকম খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছি।”

একই গ্রামের শফিকুল ইসলাম বলেন, বাড়িতে পানি, যাওয়ার কোনো জায়গা নেই। নৌকাতেই থাকতে হচ্ছে। নতুন পানিতে পোকা-মাকড়ের উপদ্রব বেড়ে গেছে। সবার মাঝে ভয় ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। তাদের অভিযোগ, কয়েকদনি ধরে পানিবন্দি থাকলেও এখনো কোনো ত্রাণ সহায়তা পাননি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ বলেন, বন্যার্তদের মাঝে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, খাবার স্যালাইন বিতরণ চলমান রয়েছে। এছাড়াও পানিবন্দিদের তালিকা সম্পন্ন। অতিদ্রুত তাদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা হবে। ভাঙন কবলিত রাস্তায় যাতায়াতের জন্য আপাতত বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে দেওয়া হবে।

Link copied!