তিন দিনের টানা বৃষ্টির কারণে ভারত থেকে হু হু করে পানি আসছে বাংলাদেশে। এতে কুমিল্লার গোমতী, কাকড়ী, পাগুলি ও সালদা নদী দিয়ে হু হু করে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
বুধবার (২১ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গোমতীর পানি বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। তবে পানি বেড়েই চলেছে। কুমিল্লায় বড় বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গোমতীপাড়ের বাসিন্দারা বলছেন, গত ১০ বছরের মধ্যে গোমতীতে এত পানি দেখেননি তারা। পানি বাড়ায় চরাঞ্চলের সহস্রাধিক পরিবার বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে।
এদিকে, গোমতীর তীর ঘেঁষা কুমিল্লা সদর উপজেলার বানাশুয়া, পালপাড়া, রত্নবতী, টিক্কারচর, জালুয়াপাড়া, বুড়িচং উপজেলার ভান্তি, শিমাইলখাড়া, পূর্বহুড়া, নানুয়ার বাজার, মিথলাপুর, গোবিন্দপুর, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মালাপাড়া এলাকায় ঢেউ আছড়ে পড়ছে।
স্থানীয়রা বলছেন, চরাঞ্চলের কয়েক হাজার একর সবজিখেত পানিতে তলিয়ে গেছে। অনেক বাসিন্দা বাড়িঘর ছেড়ে বাঁধে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় নিয়েছেন। টিক্কারচর এলাকায় শহর রক্ষা বাঁধে আশ্রয় নিতে দেখা গেছে শতাধিক পরিবারকে। চরের ভেতর কিছু কিছু জায়গায় পানি গলাসমান হয়ে গেছে।
মালাপাড়া এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, গোমতী নদীতে এত পানি আগে দেখা যায়নি। বহু পরিবার গবাদিপশু নিয়ে বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন।
কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোমেন শর্মা মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) রাত থেকে গোমতীর বিভিন্ন পয়েন্টে গোমতীর ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ পরিদর্শন করেছেন।