দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ডালিয়া পয়েন্টে পানি কমলেও বেড়েছে কাউনিয়া পয়েন্টে। বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সকাল ১১টায় কাউনিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তার দুই পাড়ের তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের মানুষ বুধবার রাত উৎকণ্ঠায় পার করলেও পানি নেমে যেতে শুরু করায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। তবে বন্যা-পরবর্তী ভাঙনের আশঙ্কা করছেন তারা।
এর আগে বুধবার বিকেলে উজানের ঢলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ে তিস্তা নদী-তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের মানুষজন। ভারতের উত্তর সিকিমে তিস্তা নদীর বাঁধ ভেঙে উজানের অস্বাভাবিক ঢলে পানি বাড়তে থাকে লালমনিরহাটের তিস্তায়। এতে তিস্তার দুই পাড়ের নিম্নাঞ্চলসহ চরাঞ্চল পানিতে ডুবে গেছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। দেখা দিয়েছে শুকনো খাবার সংকট।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সকাল ১১টায় ডালিয়া পয়েন্টে পানিপ্রবাহ বিপৎসীমার ৬৮ সেন্টিমিটার নিচে রেকর্ড করা হলেও কাউনিয়া পয়েন্টে ৩০ সেন্টিমিটার ওপরে রেকর্ড করা হয়।
বন্যায় স্থায়ী হলে বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও দমকা বাতাসে বিপাকে পড়েছেন বানভাসি মানুষ। গরু-ছাগল নিয়ে ঠাঁই নিয়েছেন আশ্রয়কেন্দ্রে।
বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রের তথ্য জানায়, ভারতীয় সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ভারতের সিকিম রাজ্যে তিস্তা নদীর চুংথাং ড্যাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদিকে সিকিম অঞ্চলে আগামী ৪৮ ঘণ্টা ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। এ ছাড়াও রংপুর অঞ্চলসহ লালমনিরহাট, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম এলাকায় দুই দিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ বলেন, “নদী এলাকার জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে মাইকিং করে নদী এলাকার মানুষকে সচেতন করেছি। যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা প্রস্তুত রয়েছি।”
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, “উজানের ঢল ও ভারী বর্ষণে বেড়ে যাওয়া তিস্তা ডালিয়া পয়েন্টে পানি কমতে শুরু করেছে। আমরা সার্বিক খোঁজখবর রাখছি।”