• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নজর কাড়ছে ‘রাজা বাহাদুর’


নীলফামারী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুন ১০, ২০২৪, ০৮:৫৭ পিএম
নজর কাড়ছে ‘রাজা বাহাদুর’

পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে নীলফামারীতে বড় বড় জাতের গরু লালন-পালন করেছেন খামারিরা। এখন সেসব গরু তারা বিভিন্ন বাজারে ও খামারে ক্রেতাদের সামনে আনছেন। এরই মধ্যে সবার নজর কেড়েছে সৈয়দপুর উপজেলার ‘রাজা বাহাদুর’ নামের একটি গরু।

সৈয়দপুরের বিউটি এগ্রো ফার্মে ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে ওঠা খামারে দেখা মিলেছে এই ষাঁড়টি। শখ করে নাম রাখা হয়েছে ‘রাজা বাহাদুর’।

খামারের পরিচালক মো. আবিদ হোসেন বলেন, এ খামারে ৬ থেকে ৮ মণ ওজনের আরও কিছু আকর্ষণীয় পশু থাকলেও ‘রাজা বাহাদুর’ ক্রস জাতের ষাঁড়টি ব্যতিক্রম বৈশিষ্ট ও আকর্ষণীয় শারীরিক কাঠামোর। পশুটি দেখলেই এক নজরেই মানুষের নজর কাড়বে। ছোট থেকেই খামারে লালন পালন করা ২০ মাস বয়সের রাজা বাহাদুরের উচ্চতা ৫ ফিট ১১ ইঞ্চি।

আবিদ হোসেন আরও বলেন, “রাজা বাহাদুরের বর্তমান ওজন ২০ মণের ওপরে। অনেক খামারি কোরবানির পশু মোটাতাজা করতে বিভিন্ন ফিড বা ভ্যাকসিন ব্যবহার করলেও এখানে শতভাগ অর্গানিক খাবার ধানের গুড়া, ভুট্টা, মশুরের ডাল, খৈল, ছোলার খুদি, ঘাস ও বিচালী পশুদের খাওয়ানো হয়।”

নীলফামারীর খামারিরা কোরবানির ঈদে পশুদের পরিচর্যার কাজে নিজেদের ব্যস্ত রেখেছেন। এসব নজরকাড়া গরু অকৃত্রিম ভালোবাসায় সন্তানের মতো লালন-পালন করেছেন তারা। পুরো জেলায় সবচেয়ে ব্যতিক্রম ১৫ থেকে ২০ মণ ওজনের হৃষ্টপুষ্ট দর্শনীয় পশু হাতেগোনা কয়েকটি রয়েছে।

নীলফামারী জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলায় এবার দুই লাখ ৭৬ হাজার ২০১টি গবাদিপশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। এর মধ্যে সদরে ৫১ হাজার ৭২৮টি, সৈয়দপুরে ৪০ হাজার ২৫৫টি, ডোমারে ৪২ হাজার ৮০৬টি, ডিমলায় ৪৩ হাজার ৫০১টি, জলঢাকায় ৫২ হাজার ২২৮টি ও কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ৪৫ হাজার ৬৮৩টি।

এবার ঈদে জেলায় পশুর চাহিদা রয়েছে এক লাখ ৪৩ হাজার ১০৯টি। চাহিদার তুলনায় এক লাখ ৩৩ হাজার ৯২টি পশু বেশি প্রস্তুত রয়েছে। এরমধ্যে গরু রয়েছে ৭৫ হাজার ৮৩৩টি, মহিষ ৩৩টি, ছাগল এক লাখ ৮৬ হাজার ১৫১টি ও ভেড়া রয়েছে ১৪ হাজার ১৮৪টি।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কৃষিবীদ ডা. সিরাজুল হক বলেন, এবার জেলায় দুই লাখ ৭৬ হাজারে বেশি পশু খামারিরা লালন পালন করছেন। এ বছর জেলার চাহিদা এক লাখ ৪৩ হাজারে একটু বেশি। সে হিসেবে এক লাখ ৩৩ হাজারে উপরে প্রাণী দেশের অন্যত্র যাবে। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে শেষ সময়ে পশু পরিচর্যা ও প্রস্তুতি নিচ্ছেন খামারিরা।

Link copied!