ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। রোববার (৫ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ একটানা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। উপনির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যা সদস্য মোতায়েন করা হচ্ছে।
এ আসনে উপনির্বাচনে পাঁচজন প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহজাহান আলম সাজু, জাতীয় পার্টির আব্দুল হামিদ, জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আব্দুর রাজ্জাক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক দুইবারের এমপি জিয়াউল হক মৃধা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন জানান, উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। নির্বাচনে ৮০০ পুলিশ ও ১ হাজার ৫৮৪ জন আনসার মোতায়েন থাকবেন। এছাড়া বিজিবি ও র্যাব সদস্যরা মাঠে থাকবে।
র্যাব-৯ ব্রাহ্মণবাড়িয়া ক্যাম্পের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোহাম্মদ নাহিদ হাসান জানান, উপনির্বাচনে র্যাবের আটটা দলে শতাধিক সদস্য মাঠে থাকবে। পাশাপাশি সাদা পোশাকেও কাজ করবে।
বিজিবি-২৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সৈয়দ আরমান আরিফ বলেন, অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে মাঠে থাকবে বিজিবি সদস্যরা। সাত প্লাটুন সদস্য নিয়োজিত থাকবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম জানান, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পূর্ণ হয়েছে। দুই উপজেলার ১৭ ইউনিয়নে ১৭ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। তাদের তদারকি করছেন তিনজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক। পাশাপাশি বিচার বিভাগের দুজন ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে কাজ করবে।
উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের গত পাঁচ বছরে তৃতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচন করতে যাচ্ছেন ভোটাররা। কারণ ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জয়লাভ করেন বিএনপির উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞা। তিনি সংসদ সদস্য থেকে পদত্যাগ করলে আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। পরে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেন তিনি। তবে উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞা গত ৩০ সেপ্টেম্বর মারা গেলে ৪ অক্টোবর আসনটি আবারও শূন্য ঘোষণা করে উপনির্বাচনের তফসিল দেয় বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন।
