• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
জেলা পরিষদ নির্বাচন

সেই পরাজিত প্রার্থীর টাকা ফেরত দিচ্ছেন ভোটাররা


টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৯, ২০২২, ০৮:৫৭ পিএম
সেই পরাজিত প্রার্থীর টাকা ফেরত দিচ্ছেন ভোটাররা

টাঙ্গাইল জেলা পরিষদ নির্বাচনে বাসাইলের পরাজিত সদস্য প্রার্থী মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম সংগ্রামের বিতরণ করা টাকা ফেরত দিচ্ছেন ভোটাররা। 

জানা যায়, মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) সকালে ভোটের পরে বিতরণ করা টাকা ফেরত চেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন রফিকুল ইসলাম। মূহুর্তেই তা স্থানীয়দের মাঝে ভাইরাল হয়। পরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর থেকেই পরাজিত ওই প্রার্থীকে টাকা গ্রহণকারী ভোটাররা তাদের নাম প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ করতে থাকেন। পরে বুধবার (১৯ অক্টোবর) তারা নিজ উদ্যোগে ভোটের আগে নেওয়া টাকা ফেরত দিতে শুরু করেন।

এলাকা সূত্রে জানা গেছে, টাঙ্গাইলের ১১নং ওয়ার্ড (বাসাইল) সদস্য পদপ্রার্থী মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম ভোটের আগে উপজেলার ফুলকি ইউপির ৮, হাবলা ইউপির ৫, পৌরসভার ৫, সদর ইউপির ১১, কাউলজানী ইউপির ৯, কাঞ্চনপুর ইউপির ৫ ও কাশিল ইউপির ৭ জনকে টাকা প্রদান করেন। তাদের প্রত্যেক ভোটারকে ১০ থেকে ৩০ হাজার টাকা করে সর্বমোট ১০ লাখ টাকা বিতরণ করেন ওই পরাজিত প্রার্থী। তাদের মধ্যে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হওয়ার পর হাবলা, সদর, কাঞ্চনপুর, কাউলজানী ও ফুলকি ইউপির অন্তত ৭ জন ভোটার দুই লাখ টাকা ফেরত দিয়েছেন। আগামী দুই দিনের মধ্যে অন্যরা টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নাম প্রকাশ না করতে অনুরোধ করেন।

ভোটের আগে কেন টাকা বিতরণ করেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে পরাজিত প্রার্থী রফিকুল ইসলাম সংগ্রাম বলেন, “ভোটাররাই একা দেখা করার কথা বলে বিভিন্ন পরিমাণের টাকা দাবি করে আসছিলেন। তাই নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার লোভে পরে তাদের টাকা দিয়েছিলাম। তবে, বিভিন্ন গনমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হওয়ার পরপরই এখন সকলেই টাকা ফেরত দিচ্ছেন।“

এ ব্যাপারে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. উমর ফারুক বলেন, “ভোট কেনা ও বেচা জঘন্য অপরাধ। এটা অন্যের অধিকার টাকা দিয়ে কিনে নেওয়া। একজন মানুষের মানবিক স্বত্ত্বাকে হরণ করার শামিল। ভোট কেনা-বেচায় আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় দিন দিন এমন অপরাধের প্রবনতা বাড়ছে।”

টাঙ্গাইল জেলা পরিষদ নির্বাচন ১১নং ওয়ার্ড বাসাইলে মোট ভোটার ছিলেন ৯৪ জন। নির্বাচনে পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে ৩ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। এতে সদস্য পদে নাছির খান ৫৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে, নিকটতম প্রার্থী মোহাম্মদ হোসাইন খান সবুজ ২১ ভোট, মিজানুর রহমান খান ১১ ভোট, মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম সংগ্রাম ৭ ভোট পেয়েছেন এবং আতিকুর রহমান কোনো ভোটই পায়নি।

Link copied!