তৃতীয় ধাপে লালমনিরহাট সদর উপজেলা নির্বাচনে একটি কেন্দ্রে ভোট পড়েছে মাত্র ১৬টি। এছাড়া এই কেন্দ্রের একটি বুথে ভোট পড়েনি একটিও।
বুধবার (২৯ মে) সন্ধ্যায় ভোট গণনা শেষে কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিসাইডিং অফিসার চঞ্চল কুমার শর্মা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, তৃতীয় ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। লালমনিরহাট সদর উপজেলায় ১১৮টি ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি ছিল অনেক কম। লালমনিরহাট পৌরসভা ও তার পার্শ্ববর্তী কিছু কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা থাকলেও অধিকাংশ কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষ করে বড়বাড়ি ইউনিয়নের কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতির হার সব থেকে নিম্নমুখী। সেখানে বেশির ভাগ কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি ছিল শতাধিকের মধ্যে।
বড়বাড়ী শহীদ আবুল কাশেম উচ্চ বিদ্যালয়ে দুটি ভোট কেন্দ্র। একটিতে পুরুষ ভোটার অপরটিতে নারী ভোটার। নারীদের ভোটকেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ৭৫২ জন। এর মধ্যে ভোট পড়েছে মাত্র ১৬টি। এ কেন্দ্রের ৭ নম্বর বুথে ৩২২ ভোটের মধ্যে কেউ ভোট দেননি। এ বুথ শূন্য ভোটের রেকর্ড তৈরি করেছে।
এ কেন্দ্রের এক নম্বর বুথে ৩৯৩ ভোটারের মধ্যে ভোট পড়েছে মাত্র দুটি। দুই নম্বর বুথে এক ভোট, তিন নম্বর বুথে দুই ভোট, চার নম্বর বুথে তিন ভোট, পাঁচ নম্বর বুথে দুই ভোট, ছয় নম্বর বুথে পাঁচ ভোট, সাত নম্বর বুথে শূন্য ও আট নম্বর বুথে ভোট পড়েছে মাত্র একটি। মোট আটটি বুথে ২ হাজার ৭৫২ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন মাত্র ১৬ জন।
এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে মোটরসাইকেল প্রতীক পেয়েছে দুটি এবং আনারস প্রতীক পেয়েছে ১৪টি। ভাইস চেয়ারম্যান পদে টিয়াপাখি প্রতীক ভোট পায়নি, চশমা প্রতীক আটটি, মাইক দুটি, উড়োজাহাজ চারটি ভোট পেয়েছে। এগুলোর মধ্যে দুটি ভোট বাতিল হয়েছে।
কেন্দ্রের সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার শাহ আলম বলেন, “ব্যালট যেভাবে নিয়ে এসেছি, সেভাবেই জমা দিতে হলো। কোনো ভোটার আসেনি বুথে। একটি ব্যালটও ভোটারের হাতে তুলে দিতে পারিনি। অলস সময় কাটালাম দিনভর।”
লালমনিরহাট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা লুৎফুল কবির জানান, ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।