ঢাকার সাভার উপজেলা পরিষদ চত্বরে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে এই কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এ সময় সেখানে কয়েকজন নতুন ভোটারের তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
এর আগে সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদের অডিটরিয়ামে ‘ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি-২০২৫’–এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন। এ সময় তিনি বলেন, “৫ আগস্টের বিপ্লব আমাদের একটা বিরাট সুযোগ এনে দিয়েছে। নানাবিধ সুযোগের মধ্যে এই সুযোগটা হচ্ছে ভোটের অধিকার আদায়ের সুযোগ। যেদিন মানুষ নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবে নির্বিঘ্নে, স্বাধীনভাবে, ফেয়ারলি, উইদাউট অ্যানি ইন্টিমিডেশন, ভয়ভীতিহীনভাবে, সেদিন আমি মনে করি ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে। আমরা সেই অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নেমেছি এবং সবাইকে সঙ্গে নিয়েই আমাদের এই কাজ করতে হবে। আমাদের একার পক্ষে এটা সম্ভব নয়। জাতীয় নির্বাচনের দায়িত্ব শুধু ইলেকশন কমিশনের দায়িত্ব একার নয়, জাতীয় নির্বাচন যখন হয়, এটা জাতীয় দায়িত্ব।”
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সারা দেশে ভোটার তালিকা হালনাগাদে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। ‘সঠিক তথ্যে ভোটার হবো, নির্বাচনে ভোট দেব’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি-২০২৫ চলবে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব (সচিবের রুটিন দায়িত্ব) কে এম আলী নেওয়াজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, বেগম তাহমিদা আহমদ, আব্দুর রহমানেল মাছউদ ও আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি এ কে এম আওলাদ হোসেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর। তিনি বলেন, “একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র কাঠামোতে জনগণই প্রকৃত ক্ষমতার মালিক বা অধিকারী। তারা রাষ্ট্র পরিচালনায় অংশগ্রহণ করে থাকে প্রতিনিধি নির্বাচনের মাধ্যমে। সেই নির্বাচনের পূর্বশর্ত হলো, একটি নির্ভুল–নির্ভেজাল ভোটার তালিকা। জুলাই-আগস্টের পর বাংলাদেশ যেন নবজীবন লাভ করেছে। মানুষের মনে এখন ভোটের আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে।”