লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ৫ ইউনিয়ন পরিষদে ১৩ বছর পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দীর্ঘদিন পর ভোট হওয়ায় কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে গরমের তীব্রতা। এতে লাইনে দাঁড়ানো ভোটাররা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। গ্রামের নারীরা বোরকা পড়ে ভোট দিতে এসে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। অনেকে আবার লাইন ভেঙে গাছেরে নিচে গিয়ে বসেছেন।
রোববার (২৮ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে লক্ষ্মীপুরে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। সকাল ৮টায় ভোট শুরুর সময় ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল।
এদিকে তীব্র এই গরমে ভোটারদের তৃষ্ণা মেটাতে পানির কলসি-জগ নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় চেয়ারম্যান-মেম্বার প্রার্থীদের কর্মীদের। তৃষ্ণার্তরা চাওয়া মাত্রই পানি পান করাতে ব্যস্ত তারা। অনেক ভোটার গরমে অতিষ্ঠ হয়ে লাইন ভেঙে গাছের ছায়ায় অবস্থান নিয়েছেন।
সকাল থেকে সদর উপজেলার লাহারকান্দির আবিরনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তেওয়ারীগঞ্জের হোসেনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব চরমনসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আধারমানিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চর উভূতি সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে ভোটারদের এমন চিত্র দেখা যায়।
ভোটার রাহেলা বেগম, আয়েশা খাতুন ও জেসমিন আক্তারসহ কয়েকজন বলেন, “প্রচণ্ড গরম। রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এমন জানলে ভোট দিতে আসতাম না। একটুও বাতাস নেই, ছায়াও নেই।”
তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ওমর ফারুক ইবনে হুছাইন ভুলু বলেন, “বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গরমও বেড়েছে। ভোটাররা ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। গরমে তাদের তৃষ্ণা মেটাতে প্রত্যেকটি কেন্দ্রেই কর্মীদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।”
উল্লেখ্য, সীমানা জটিলতার কারণে প্রায় ১৩ বছর স্থগিত ছিল লক্ষ্মীপুরের ৫ ইউনিয়নের নির্বাচন। ইউনিয়নগুলো হহো দক্ষিণ হামছাদী, দালাল বাজার, বাঙ্গাখাঁ, লাহারকান্দি ও তেওয়ারীগঞ্জ। সকাল ৮টা থেকে এসব ইউনিয়নের ৪৬টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। ৫ টি ইউনিয়নে ২৮ জন চেয়ারম্যান, ২২৫ জন সদস্য ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৬৩ জন সদস্য প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ইউনিয়নগুলোতে ভোটার রয়েছে ১ লাখ ২২ হাজার ৯২৮ জন।