কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটার সংখ্যা ছিল খুবই কম। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পরও যখন কোনো ভোটারের দেখা মিলছিল না এমন সময় ভোটকেক্ষে প্রবেশ করেন মো. রুমান নামের এক ভোটার। তখন তাকে দেখে সবাই চিৎকার দিয়ে বলে ওঠেন, ‘এই ভোটার আইছে, ভোটার আইছে।’
বুধবার (৫ জুন) উপজেলার সরারচর এলাকার আশিনল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের একটি কক্ষে এমন ঘটনা ঘটে।
ভোটকক্ষ থেকে বের হয়ে ভোটার রুমান বলেন, “ভোটকক্ষে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সবাই আমাকে দেখে চিৎকার করে ওঠেন, আর বলেন, ‘এই ভোটার আইছে, এই ভোটার আইছে।’ মনে হচ্ছে, সবাই যেন দীর্ঘ সময় ধরে আমার জন্যই অপেক্ষা করছিলেন। সে জন্যই আমি যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা আমাকে এভাবে ওয়েলকাম জানান।”
কেন্দ্রটির প্রিসাইডিং কর্মকর্তা নাদিম মিয়া বলেন, এ কেন্দ্রে মোট ভোটার ৩ হাজার ৪১১ জন। এর মধ্যে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত মোট ভোট পড়েছে ৬০০টি।
সরেজমিনে সরারচর সৌদামিনী সুরবালা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, সরারচর শিবনাথ বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়, সরিষাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দীঘিরপাড় নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়, হালিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব পাটুলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ঘুরে ভোটার উপস্থিতি কম দেখা যায়। আশিনল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে একজন ভোটারকে প্রকাশ্যে ভোট দিতে দেখা যায়। তবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
হালিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. মহসিন ভূঞা জানান, তার এখানে ১ হাজার ৯০৬ ভোটের মধ্যে বেলা ৩টা পর্যন্ত ৪৫০ ভোট পড়েছে। দীঘিরপাড় নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ২ হাজার ১৫৬ ভোটের মধ্যে চার শতাধিক ভোট পড়েছে।
বিকেল পৌনে ৪টার দিকে পূর্ব পাটুলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ কবির আলম শাহ বলেন, এ কেন্দ্রে ২ হাজার ৮৫০ ভোটের মধ্যে বেলা ২টা পর্যন্ত ৭২০ ভোট পড়েছে।
বিকেল ৪টার দিকে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী বলেন, বাজিতপুরে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা ছাড়া কোনো কেন্দ্র থেকে তেমন কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।