• ঢাকা
  • রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

পরকীয়ায় ধরা পড়ে পদ হারালেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা


ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ১১, ২০২৪, ০১:১৬ পিএম
পরকীয়ায় ধরা পড়ে পদ হারালেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা
মো. সবুজ সরদার।

পরকীয়া প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে গ্রামবাসীর হাতে গণধোলাই খাওয়া সেই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. সবুজ সরদারকে দলীয় পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত সবুজ সরদার ফরিদপুরের সালথা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।

বুধবার (১০ জুলাই) সন্ধ্যায় সালথা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি রাকিবুল হাসান জুয়েল ও সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংগঠনের শৃঙ্খলা, নীতি ও আদর্শ পরিপন্থী কার্যকলাপের জড়িত থাকার অভিযোগে সালথা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি মো. বুলবুল হাসানকে (সবুজ সরদার) তার সাংগঠনিক পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হলো। সেই সঙ্গে স্থায়ীভাবে তাকে বহিষ্কারের জন্য ফরিদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ কমিটির নিকট প্রেরণ করা হলো।

বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করে সালথা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি রাকিবুল হাসান জুয়েল বলেন, সবুজ দলীয় আদর্শের তোয়াক্কা না করে নানা অপকর্ম ও পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন সবুজ সরদার। তার এসব কর্মকাণ্ড নিয়ে ৭ জুলাই গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি কেন্দ্রীয় ও জেলা কমিটির নজরে আসে। পরে ঘটনার সত্যতা যাচাই-বাছাই করতে জেলা কমিটির পক্ষ থেকে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেই তদন্ত কমিটি তদন্ত করে ঘটনা সত্যতা পাওয়ার পর জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক সবুজকে তার দলীয় পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

জানা গেছে, সরকার দলীয় পদ ব্যবহার করে নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে সবুজ সরদার। তার স্ত্রী ও দুটি সন্তান রয়েছে। তারপরেও উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের মুরাটিয়া গ্রামের ৪ সন্তানের জননী এক নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত হন তিনি। মাঝে মাঝেই ওই নারীর বাড়িতে এসে দেখা করতেন। গত ৬ জুলাই সকালে ওই নারীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে গ্রামবাসী তাকে ধরে গণধোলাই দেয়।

এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে মো. সবুজ সরদার বলেন, “স্থানীয় বিরোধের জেরে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমার সাথে এই আচরণ করা হয়েছে।”

Link copied!