মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, “নারী নির্যাতন নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে বড় বাধা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে বিভিন্ন প্রকল্প, আইন ও কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে।”
বুধবার (৩ মে) বেলা ১১টার দিকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার ও বিভাগীয় ডিএনএ স্ক্রিনিং কার্যক্রম নিয়ে এক মতবিনিময় সভা তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২০ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন সংশোধন আইনে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ও ডিএনএ পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করায় দ্রুত অপরাধী শনাক্ত এবং ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা যাচ্ছে। এর ফলে নির্যাতন ও সহিংসতা কমেছে।
ফজিলাতুন নেসা বলেন, “পূর্বে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ছিল ৪৫ টি, সরকার ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা বাড়িয়ে ১০৬ টি করেছে। নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে মাল্টিসেক্টরাল প্র্রোগ্রাম প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় ১৪টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার, ৪৭টি জেলা সদর হাসপাতাল এবং ২০টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোট ৬৭টি ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেল স্থাপন করা হয়েছে।”
সভায় হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. এনামুল হকের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহপরিচালক ফরিদা পারভীন, ডিএনএ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবেদা আক্তার, অতিরিক্ত সচিব রওশন আরা, জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার প্রমুখ।