লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় এক গ্রাম পুলিশের স্ত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার সময় সেই নারী ওই লোকের গোপনাঙ্গ কেটে দেন বলে জানা যায়। শনিবার (১৫ মার্চ) রাতে রায়পুরের একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ, তার স্বামী প্রতি রাতের মতো শনিবারও দায়িত্ব পালন করতে যান। এ সুযোগে লোকটি ঘরে ঢুকে তিন সন্তানের জননী এই নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। তখন তিনি তার কাছে থাকা ব্লেড দিয়ে ওই ব্যক্তির গোপনাঙ্গের কিছু অংশ কেটে দেন। এতে লোকটি আহত হয়ে পালিয়ে যান।
ধর্ষণচেষ্টার শিকার ওই গৃহবধূ জানান, তারা পাশাপাশি বাড়িতে থাকেন। লোকটি অনেক দিন ধরে তাকে ‘কুপ্রস্তাব’ দিচ্ছিলেন। বিষয়টি তিনি তার স্বামী ও স্বজনকে জানালে কেউ তার কথা বিশ্বাস করেনি। এ কারণে তিনি আত্মরক্ষার জন্য নিজের কাছে সব সময় একটি ব্লেড রাখতেন। সেই ব্লেড দিয়েই ওই ব্যক্তির গোপনাঙ্গ আংশিক কেটেছেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন লোকটি বলেন, গ্রাম পুলিশের দায়িত্বে থাকা ওই নারীর স্বামীর সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। এ নিয়ে দুই বছর আগে ভুক্তভোগীর স্বামী তাকে মারধর করে। এর জেরে শনিবার রাতে তাদের ঘরের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় তার স্ত্রী ও দুই অচেনা লোক ঘরে ঢুকিয়ে গোপনাঙ্গের আংশিক কেটেছেন।
রায়পুর সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক বাহারুল আলম বলেন, ‘আহত লোকটির গোপনাঙ্গের ২০ শতাংশ কাটা গেছে। সে এখন শঙ্কামুক্ত।’
রায়পুর থানার ওসি নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।