নারায়ণগঞ্জে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ও তার সহযোগীদের গুলি ছোঁড়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। শনিবার (২৪ আগস্ট) ফেসবুকে ২৯ সেকেন্ডের ওই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে শামীম ওসমান আত্মগোপনে রয়েছেন।
ভিডিওতে দেখা যায়, ১৯ জুলাই শামীম ওসমান ও অনুসারীরা আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে শহরের চাষাঢ়া এলাকা থেকে বঙ্গবন্ধু সড়কে শহরের ২ নম্বর রেলগেইট এলাকার দিকে ধাওয়া দিতে দেখা যায়। সেখানে শামীম ওসমানের শ্যালক ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক তানভীর আহমেদকে (টিটু) গুলি ছুড়তে যায়। ভিডিওতে শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমানের শ্বশুর ফয়েজ উদ্দিন (লাভলু), তার ছেলে মিনহাজুল ইসলাম ও শীতল পরিবহনের বাসের পরিচালক শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠ অনুপ কুমার সাহা, ১২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নিয়াজুল ইসলামকে দেখা যায়।
এ ছাড়া সেখানে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ছিলেন টেলিভিশন চ্যানেল ডিবিসি নিউজ ও যুগান্তর পত্রিকার নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি রাজু আহমেদ। ওই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর দৈনিক যুগান্তর ও ডিবিসি নিউজ কর্তৃপক্ষ তাকে বরখাস্ত করেছে।
এদিকে ১৯ জুলাই শহরের নয়ামাটি এলাকায় চারতলার বাড়ির ছাদে খেলার সময় ৬ বছরের শিশু রিয়া গোপ মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। অভিযোগ উঠেছে, শামীম ওসমান ও তার সহযোগীদের গুলিতে রিয়া গোপের মৃত্যু হয়েছে।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জের সমন্বয়ক ফারহানা মানিক বলেন, ওই দিন (১৯ জুলাই) ওই এলাকায় কোনো পুলিশ সদস্য ছিলেন না। কার গুলিতে রিয়া গোপের মৃত্যু হলো, সেটি প্রশাসনকে খুঁজে বের করতে হবে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আমীর খসরু গণমাধ্যমকে বলেন, “অস্ত্রের মহড়া দিয়ে গুলি করার ভিডিওটি আমাদের নজরে এসেছে। সেখানে কারা, কী ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করেছেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”