লালমনিরহাট সদর উপজেলায় ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ভিজিএফের চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে খুনিয়াগাছ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও দুই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে।
শনিবার (৬ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে পরিষদ চত্ত্বরে ঈদ উপলক্ষে অসহায় হত দরিদ্রদের মাঝে জনপ্রতি ভিজিএফের ১০ কেজি চাল বিতরণ শুরু হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে খুনিয়াগাছ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুজ্জামান বাদলের সহযোগিতায় ইউপি সদস্য শরিফুল ও আশরাফ আলী লাল ওজনে কম দিয়ে ভিজিএফের ১২০০ কেজি চাল আলাদা রেখে সেগুলো বাজারে বিক্রি করে দেন। এসময় তারা খাদ্য অধিদপ্তরের বস্তার পরিবর্তে নিজস্ব বস্তায় ১ থেকে দেড় কেজি করে চাল কম দেন। পরে স্থানীয়রা বিক্ষোভ শুরু করলে চাল বিতরণ বন্ধ করে দেন অভিযুক্তরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে পুনরায় বিতরণ কাজ শুরু করা হয়।
সুবিধাভোগী ও স্থানীয়রা জানান, ঈদ উপলক্ষে দুস্থ্য ও হত দরিদ্রদের প্রত্যেককে ভিজিএফের ১০ কেজি করে চাল প্রদানের কথা থাকলেও তারা ৮ থেকে ৯ কেজি দেন। সরকারি খাদ্য অধিদপ্তরের বস্তায় চাল বিতরণের কথা থাকলেও তারা নিজস্ব বস্তায় চাল ঢেলে দেন।
সকিনা বেগম নামের এক সুবিধাভোগী বলেন, “আমাদের তিনজনকে একসঙ্গে এক বস্তায় ৩০ কেজি চাল দেওয়া হয়েছে বলে একটি বস্তা দেওয়া হয়। পরে সেখানে চাল পেয়েছি ২৬ কেজি।”
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দুই ইউপি সদস্য। এ বিষয়ে খুনিয়াগাছ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খায়রুজ্জামান বাদলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “সাংবাদিকদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে শিগগিরই বসা হবে।”
এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ বি এম আরিফুল হক বলেন, “বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। খোঁজ নিয়ে তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”