ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ফরিদপুরে গাছ উপড়ে পড়ে দুটি মহাসড়কে যান চলাচল ৯ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ফের স্বাভাবিক হয়েছে। সড়ক দুটি হচ্ছে ঢাকা–খুলনা ও ঢাকা–বরিশাল। দুটি মহাসড়কের ৮০ কিলোমিটার অংশে অন্তত ২৪/২৫টি স্থানে গাছ উপড়ে সড়ক দুটির যান চলাচল বিঘ্নিত হয়। তবে স্থানীয় লোকজন, হাইওয়ে পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় ৯ ঘণ্টা পর ফের সড়ক দুটি স্বাভাবিক পর্যায়ে রাখা সম্ভব হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৈমুর আলম বাস চলাচলের শুরুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, ফরিদপুর থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের তালমা পুকুরিয়া এবং ভাঙ্গা থেকে গোপালগঞ্জ পর্যন্ত ঢাকা–খুলনা মহাসড়কের মাঝরা, মাঝিগাতী, রিসাতলা, জয় বাংলা, কাইলার মোড়, মনসুরাবাদসহ অন্তত ২৪/২৫টি জায়গায় গাছ উপড়ে পড়ে।
হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার বৃষ্টি এবং ঝড়ের গতিবেগ বৃদ্ধির ফলে রাত সাড়ে আটটার পর ফরিদপুর থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক এবং ভাঙ্গা থেকে গোপালগঞ্জ পর্যন্ত ঢাকা–খুলনা মহাসড়কের অন্তত ৮০ কিলোমিটার পথে গাছ উপড়ে পড়ার ঘটনা ঘটে। এতে ফরিদপুর থেকে গোপালগঞ্জ পথে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৈমুর আলম বলেন, দুটি মহাসড়কে রাত সাড়ে আটটা থেকে গাছ উপড়ে পড়ার জন্য যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অন্তত ২৪/২৫টি জায়গায় গাছ উপড়ে পড়ার ঘটনা ঘটেছে, তবে ঝড় এবং বৃষ্টি থামার পর থেকেই মহাসড়ক দুটির বিভিন্ন স্থান থেকে গাছ অপসারণের কাজ শুরু হয়। মঙ্গলবার সকাল ৭টা নাগাদ এই সড়ক দুটির যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।