উত্তর জনপদের শষ্য ভাণ্ডার হিসেবে খ্যাত জেলা নওগাঁ। শীতকালে এই অঞ্চলে বিপুল পরিমাণ সবজি উৎপাদিত হয়ে থাকে। এবছরও জেলার পৌর বাজারসহ ১১টি উপজেলার প্রতিটি হাট-বাজারে আসতে শুরু করেছে শীতকালীন সবজি। তবে সরবরাহ বাড়লেও কমছে না সবজির দাম। এতে বিপাকে পড়ছেন ক্রেতারা।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) পৌর কাঁচা বাজারসহ মান্দা, নিয়ামতপুর, পোরশা, সাপাহার, ধামইরহাট, মহাদেবপুর, পত্নীতলা, বদলগাছী, আত্রাই ও রানীনগর বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, নতুন আলু প্রতি কেজি ১০০ টাকা, বাঁধাকপি প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকা ও ফুলকপি ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। শসা প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, মুলা ৩০ থেকে ৪০, পুঁইশাক ২০ থেকে ২৫, শিম ১০০, কাঁচা মরিচ ১০০, বরবটি ৮০ থেকে ১০০, সাদা বেগুন ৬৫ থেকে ৭০ ও মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা।
এছাড়া টমেটো ৬০ থেকে ৮০, আদা ১৮০, রসুন ২১০ থেকে ২৩০, মটরশুঁটি ১০০ থেকে ১৩০, করলা ১০০, কাঁকরোল ৫০ টাকা। কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
নওগাঁ পৌর বাজারের ব্যবসায়ী রিয়াজ উদ্দিন সরদার বলেন, “এবার পাইকারি বাজারে সবজির দাম কিছুতেই কমছে না। একারণে আমরাও কম দামে বিক্রি করতে পারছি না।”
বাজারে সবজি কিনতে আসা আক্তার আহমেদ বলেন, “শীতের সময় সবজির দাম কম হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শীতকালীন সবজিতে বাজার ভরপুর হলেও সবজি চড়া দাম কেন? এত টাকা দিয়ে সবজি কিনে পরিবার চালানো মুশকিল হয়ে পড়েছে।”
নওগাঁ সদরের কাজিপাড়া থেকে বাজার করতে আসা এনজিওকর্মী রিক্তা খানম বলেন, “বাজারে সব কিছুর দাম বেশি। মনে হচ্ছে আমদানি কম হওয়ার কারণে জিনিসপত্রের দাম বেশি। তাছাড়া বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ না থাকার কারণে দেশি পেঁয়াজের দাম অনেক বেশি চাচ্ছে।”
মৌসুমেও সবজির দাম বাড়তি বলে স্বীকার করেছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, সব ধরনের সবজির দাম তুলনামূলক বেড়েছে। কৃষকের সবজি উৎপাদনে খরচ বেড়ে যাওয়ায় খুচরা বাজারে শাক-সবজির দাম বেশি।
মান্দা উপজেলার প্রসাদপুর কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ী রমজান আলি বলেন, “সবজির দাম অন্যবারের তুলনায় বেশি। তবে সরবরাহের বড় কোনো ঘাটতি নেই।”
এই ব্যবসায়ী আরও বলেন, “আবহাওয়ার কারণে শীতের সবজিতে কিছুটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এজন্য আগের তুলনায় সবজির দাম একটু বেড়েছে। তবে আশা করছি ১০-১২ দিনের মধ্যে সবজির দাম কমে আসবে।”