খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলায় ‘জনতার পিটুনিতে’ হ্লাচিং মং মারমা (২৮) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন।
রোববার (২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার কালাপানি স্কুলপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হ্লাচিং মং মারমা (২৮) জেলার রামগড় উপজেলার বৈদ্যপাড়া গ্রামের প্রয়াত থৈহ্লাপ্রু মারমার ছেলে এবং ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) কর্মী ছিলেন বলে জানা গেছে।
মানিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনচারুল করিম বলেন, রোববার বিকেলে উপজেলার কালাপানি স্কুলপাড়া এলাকায় গণপিটুনির ওই ঘটনা ঘটে। পরে আহত যুবককে রাত ১১টার দিকে জেলা সদর হাসপাতালের নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয়দের বরাতে ওসি বলেন, ওই এলাকায় বালুর পয়েন্টে ইউপিডিএফ পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে যায় সশস্ত্র কয়েকজন। এ সময় এলাকার লোকজন তাদের ধাওয়া দেয়। একজন মোটরসাইকেলে ও অন্যরা দৌড়ে পালিয়ে গেলেও হ্লাচিংমং মারমা গণপিটুনিতে আহত হন। পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসক হ্লাচিংমং মারমাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালের চিকিৎসক রাকিব উদ্দিন জানান, সেখানে পৌঁছানোর আগেই যুবকের মৃত্যু হয়। মৃত্যুর কারণ ময়নাতদন্ত শেষে জানা যাবে।
এদিকে প্রসিত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফ নিহত যুবককে নিজেদের কর্মী দাবি করে ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে।
ইউপিডিএফের খাগড়াছড়ি জেলা ইউনিটের সংগঠক অংগ্য মারমা সোমবার এক বিবৃতিতে অভিযোগ করেন, ‘শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে’ হ্লাচিং মং মারমাকে হত্যা করা হয়েছে। আর তাতে নেতৃত্ব দেন যোগ্যছোলা ইউনিয়নের জনৈক আওয়ামী লীগ নেতা। অবিলম্বে এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি।