বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ এনে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উছেন মেরকে হেনস্তা করা হয়েছে। এসময় তার ব্যবহৃত সরকারি গাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ভাঙচুর করা হয়।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল সোয়া ৮টার দিকে কোটচাঁদপুর শহরের বালক বিদ্যালয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, কোটচাঁদপুর উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে প্রতি বছর বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান হয়। প্রতিবছর বিশেষ দিনগুলোতে উপজেলা এবং পৌরসভা শহীদ মিনার ধোয়ামোছা ও পরিষ্কার করা হলেও এবার তা করা হয়নি। অনুষ্ঠানে মাইকের কোনো ব্যবস্থা ছিল না। বিশৃঙ্খলারোধে নিরাপত্তাবেষ্টনীও তৈরি করা হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, সকাল ৮টায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রথম শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। কিন্তু ইউএনও উছেন মে আসেন নির্ধারিত সময়ের কিছুটা পর। এতে উপস্থিত জনতা ক্ষুব্ধ হন। ইউএনওর দেরিতে আসার সঙ্গে যোগ হয় অব্যবস্থাপনার বিষয়গুলো।
ইউএনও গাড়ি থেকে নামার পর বিক্ষুব্ধ জনতা তাকে ঘিরে ধরে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। এ সময় ইউএনও উছেন মে উত্তরে দিতে গেলে বিক্ষুব্ধ জনতা তাকে হেনস্তা করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের পাশাপাশি পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা এগিয়ে আসেন।
একপর্যায়ে লোকজন ইউএনওর গাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এতে গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। সোমবার সকাল ১০টার দিকে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা এবং পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে ইউএনও উছেন মে শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনসহ উপজেলা প্রশাসনের অন্য কর্মসূচিতে অংশ নেন।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুর রাজ্জাক বলেন, “আয়োজকদের অব্যবস্থাপনার কারণে সাধারণ মানুষ নাখোশ ছিল। পরে অবশ্য ঠিক হয়ে গেছে। এ সময় কিছু মানুষ ইউএনওর গাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে তা ভাঙচুর করে।”
এ বিষয়ে জানতে ইউএনও উছেন মের মোবাইলে কল করা হলেও তিনি ধরেননি। জেলা প্রশাসক মো. আবদুল আওয়াল জানান, ঘটনাটি শুনেছেন। কেন কীভাবে ঘটনাটি ঘটেছে তা এখনই বোঝা যাচ্ছে না। এ ধরনের জাতীয় দিবসে অনেকে দায়িত্ব পালন করেন। এখানে কেন ত্রুটি হলো, সেটা বুঝতে পারছেন না। তবে পরে সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে যায়। সরকারি সব অনুষ্ঠান সঠিক ও সুচারুভাবে করা হয়েছে।