বগুড়ায় বেশ কয়েকদিন ধরে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে লোডশেডিং। এতে করে আরও বেশি ভোগান্তিতে পড়ছেন বগুড়াবাসী।
স্থানীয়রা জানান, প্রতি এক ঘণ্টা পরপর বিদ্যুতের লোডশেডিং হওয়ায় অসহ্য গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। রাতের লোডশেডিং অসহনীয় হয়ে ওঠে।
বগুড়া সদর উপজেলার বাসিন্দা আব্দুল আলিম বলেন, “এখন প্রতিদিন রাতে দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকছে না। এতে বাসায় বৃদ্ধ মা-বাবা ও ছোট দুই সন্তানকে নিয়ে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে কষ্টে রাত পার করতে হয়। আর দিনে তো থাকেই না।”
মোয়াজ্জেম হোসেন নামের একজন বলেন, “দিনের বেশির ভাগ সময় আমরা বিদ্যুৎ পাচ্ছি না। দিনের বেলাও থাকছে না, মধ্যরাতেও বিদ্যুৎ পাচ্ছি না। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে নির্ঘুম রাত কাটাতে হচ্ছে। পরিবারের লোকজন অসুস্থও হয়ে গেছে।”
এ ব্যাপারে বগুড়া নর্দার্ন ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির (নেসকো) পরিচালন ও সংরক্ষণ সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হাসিবুর রহমান জানান, শহরের চারটি বিভাগে বিদ্যুতের চাহিদা প্রায় ১০০ মেগাওয়াট। সেখানে সরবরাহ মিলছে ৫০ থেকে ৭৫ মেগাওয়াট। অনেক সময় ৫০ মেগাওয়াটের নিচেও আসে। যার ফলে ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং দিতে হয়। এলাকাভেদে এক থেকে দেড় ঘণ্টা পরপর লোডশেডিং করতে হচ্ছে।